Gangasagar: রাত পোহালেই গঙ্গাসাগর মেলা! জেনে নিন সাগর সম্বন্ধে অবাক-করা কিছু কথা...
গঙ্গাসাগরের কথা রামায়ণে ও মহাভারতে উল্লেখ করা আছে।
কিংবদন্তি, গঙ্গাসাগরে কপিলমুনির আশ্রম। রামায়ণে আছে, কপিলমুনির ক্রোধাগ্নিতে সগর রাজার ষাট হাজার পুত্র ভস্মীভূত হন। সগরের পৌত্র ভগীরথ স্বর্গ থেকে গঙ্গাকে নিয়ে এসে সগরপুত্রদের ভস্মাবশেষের উপর দিয়ে বইয়ে দেন এবং তাঁর পিৃতপুরুষের আত্মা মুক্ত করেন। মহাভারতের বনপর্বে তীর্থযাত্রা অংশে গঙ্গাসাগর তীর্থের কথা বলা হয়েছে।
পালবংশের রাজা দেবপালের একটি লিপিতে গঙ্গাসাগর-সঙ্গমে তাঁর ধর্মানুষ্ঠান করার কথা আছে। একসময়ে কপিল মুনির আশ্রম সমুদ্রগর্ভে বিলীন হয়। এরপর নতুন করে আশ্রম তৈরি হয়। এবং আশ্রমটিকে কেন্দ্র করে ভক্তদের সমাগম বাড়তে থাকে।
প্রত্যেক বছর জানুয়ারি মাসের মাঝামাঝি আসে মকরসংক্রান্তি বা পৌষ-সংক্রান্তির পুণ্যতিথি। এই তিথিতে লাখো লোকের সমাগম ঘটে। এই সমাগমকে ঘিরে গড়ে উঠেছে বিরাট এক মেলা। সেই মেলার নামই গঙ্গাসাগর-মেলা।
তারপর দিনে দিনে এই মেলা ক্রমশ ঐতিহ্যশালী হয়ে উঠেছে। হয়ে উঠেছে পূর্ব ভারতের শ্রেষ্ঠতম মেলা।
গঙ্গাসাগর মেলা নিয়ে সরাসরি সাহিত্য সেভাবে রচিত হয়নি। যেমন প্রয়াগের মেলাকে ঘিরে রচিত হয়েছে কালকূটের অমৃতকুম্ভের সন্ধানে। কিন্তু এটা ঠিক, মেলা নিয়ে যা কিছু লেখা হয়েছে বা মেলার যা কিছু রূপ সেলুলয়েডে দেখানো হয়েছে, তার মধ্যেই কোথায় যেন গঙ্গাসাগর মেলার রূপটাও ধরা পড়েছে।