লাটাইয়ের থেকে পাবজিতেই বেশি আগ্রহী ছোটরা, বিশ্বকর্মা পুজোয় আক্ষেপ ঘুড়ি বিক্রেতাদের
বুধবার বিশ্বকর্মা পুজো। প্রতিবারের মতোই রঙ-বেরঙের ঘুড়ি সাজিয়ে বসেছেন শহর ও শহরতলির ব্যবসায়ীরা। কিন্তু এবারের বিশ্বকর্মা পূজা যেন কিছুটা কম রঙিন। ঘুড়ি বিক্রেতাদের আক্ষেপ, পাবজির যুগে হারিয়ে যাচ্ছে ঘুড়ি-লাটাই। 'ভোকাট্টা'র থেকে ভিডিয়ো গেমের 'চিকেন ডিনারে'ই বেশি খুশি জেন-ওয়াই। গত কয়েক বছরে অনেকটাই কমেছে বিক্রি। আগের মতো আর বিশ্বকর্মা পুজোর দিন ঘুড়িতে ভরে ওঠে না আকাশ।
তবে শহরে অল্পবয়সীদের একাংশের মধ্যে এখনও রয়েছে ঘুড়ি ওড়ানো অভ্যাস। শহরতলীর দিকেও স্মার্টফোনের প্রভাবে হারিয়ে যায়নি পেটকাটি-চাঁদিয়াল। তবে আগের তুলনায় তাদের পছন্দ বদলেছে অনেকটাই।
নিজে হাতে মাঞ্জা দেওয়ার ঝক্কি নিতে নারাজ এখনকার ঘুড়িপ্রেমীরা। সুতোর ক্ষেত্রে ক্রেতাদের প্রথম পছন্দ চিনা রেডিমেড নাইলন সুতো। প্রায় প্রতিটি দোকানেই বিক্রি হচ্ছে রংবেরঙের ছোট ছোট রিল।
কিন্তু নাইলনের সুতো বিপদজনক নয়? বিক্রেতাদের বক্তব্য, সরকারের নাইলন সুতো বিক্রির বিষয়ে বিধিনিষেধ তাঁরা আগে শুনেছেন। কিন্তু সেভাবে কেউই এই নিয়ম মানেন না। তাছাড়া ক্রেতারাও নাইলন সুতোই বেশি পছন্দ করছেন। দামও সাধারণ মাঞ্জা সুতোর প্রায় অর্ধেক। অনেক বেশি শক্তও।
ঘুড়ির ক্ষেত্রেও বেড়েছে অপশন। কাগজের পেটকাটি চাঁদিয়ালের বদলে প্লাস্টিকের প্রিন্টেড ঘুড়ির চাহিদা বেশি। আর নতুন নতুন ডিজাইনের ঘুড়ির মাধ্যমেই ক্রেতা টানতে চাইছেন ঘুড়ি বিক্রেতারা।