Deganga: দেগঙ্গায় গোমূত্র ও গোবরে মিলল `সোনা`! তুমুল হইচই এলাকায়
নিজস্ব প্রতিবেদন : গোমূত্র ও গোবর থেকে নাকি 'সত্যি সত্যিই' সোনা পাওয়া গিয়েছে! এমন দাবি ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল দেগঙ্গায়। দেগঙ্গার গোবর্ধনপুর এলাকায় গোমূত্র ও গোবর থেকে নাকি সোনা উদ্ধার হয়েছে! এমনই দাবি স্থানীয়দের।
তবে উদ্ধার হওয়া সোনালি রঙের পাথর জাতীয় বস্তু সোনা না অন্য কোনও ধাতু সেটা অবশ্য বিতর্কের বিষয়। জানা গিয়েছে, দেগঙ্গার গোবর্ধনপুর এলাকার বাসিন্দা এক ব্যক্তি গরু পালন করেন। হঠাৎ বাড়ির মালিক গত রাতে লক্ষ্য করেন যে গোমূত্র ও গোবর থেকে কিছু সোনালি রঙের পাথর জাতীয় জিনিস বের হচ্ছে।
এই খবর জানাজানি হতেই এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে এক স্বর্ণ ব্যবসায়ী সটান তাঁর বাড়িতে এসে হাজির হন। তিনি-ই ৫০ হাজার টাকার বিনিময়ে ওই সোনালি রঙের পাথর মতো দেখতে ওগুলি কিনে নেন। এতেই সন্দেহ দানা বাঁধে এলাকাবাসীর মনে। তাঁদের প্রশ্ন, ওই সোনালি রঙের পাথরগুলি কি সোনা? তা না হলে ৫০ হাজার টাকায় কেন কিনল স্বর্ণ ব্যবসায়ী? এই নিয়ে তুমুল হইচই পড়ে গিয়েছে গোবর্ধনপুর এলাকায়।
যদিও স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি সম্পূর্ণ উড়িয়ে যুক্তিবাদী মঞ্চ পাল্টা দাবি করেছে, মানুষের যেমন গলব্লাডার স্টোন হয়, ঠিক তেমনই গবাদি পশুর পেটেও পাথর হতে পারে। যা হয়তো স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের কাজে লাগে। ওই কারণেই ওই সোনালি রঙের 'পাথর'গুলি বহু মূল্যে বিক্রি হয়েছে। গোমূত্র ও গোবর থেকে সোনা পাওয়ার ব্যাপারটি গুজব ছাড়া আর কিছুই নয়।
প্রসঙ্গত, 'গরুর দুধে সোনা থাকে', এমনই দাবি করেছিলেন দিলীপ ঘোষ। তাঁর সেই দাবি ঘিরে রীতিমতো শোরগোল পড়ে যায় রাজ্যে। এবার দেগঙ্গায় গোমূত্র ও গোবরে সোনালি রঙের পাথর জাতীয় জিনিস মিলতেই ফের সেই প্রসঙ্গকে টেনে হইচই শুরু হয়েছে।