খুদে পড়ুয়াদের জন্য নেই কিছুই! সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পুরোটাই কুকর্মের আখড়া
প্রদ্যুত্ দাস: রাত হলেই স্কুলের মধ্যে বসে নেশার আসর। শুধু তাই নয়, বিভিন্ন ধরনের নোংরা কাজকর্মও চলে স্কুলের মধ্যেই। অভিযোগ, প্রশাসনকে বার বার জানানো হলেও কোনও হেলদোল নেই। কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না। স্কুলের চারপাশ ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে মদের বোতল।
শিক্ষকদের অভিযোগ, স্কুলের আশপাশের পরিবেশ লেখাপড়ার অযোগ্য হয়ে উঠেছে। নোংরা কাজকর্মের আখড়া হয়ে উঠেছে জলপাইগুড়ির সদর ব্লকের নারায়ণপুর খারিজা বেরুবাড়িতে টেপড়ামণি নারায়ণপুর স্টেট প্ল্যান্ট প্রাথমিক বিদ্যালয়। জলপাইগুড়ি শহর থেকে মাত্র প্রায় ১২ কিলোমিটার দূরে রয়েছে টেপড়ামণি নারায়ণপুর স্টেট প্ল্যান্ট প্রাথমিক বিদ্যালয়। বর্তমানে জরাজীর্ণ অবস্থা এই স্কুলের।
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলিতে এমনিতেই ছাত্রছাত্রীদের সংখ্যা তলানিতে। তার মধ্যে স্কুলের এমন বেহাল পরিস্থিতি। স্কুলের দুর্বল পরিকাঠামো ও শিক্ষক-শিক্ষিকা কম আসায় পড়াশোনাও সঠিকভাবে হচ্ছে না বলে অভিযোগ। স্কুলের ৪টি ক্লাসে বর্তমানে ছাত্রছাত্রীর সংখ্যাও অনেক কমেছে।
বিদ্যালয়ের চারপাশে নেই কোনও সীমানা প্রাচীর। পরিকাঠামোও নেই বললেই চলে। স্কুলের বাচ্চাদের বসার জন্য না আছে বেঞ্চ। না আছে শিক্ষকদের চেয়ার-টেবিলও। পড়ুয়াদের মিড-ডে মিল খাওয়ার সুব্যবস্থা বা জায়গাও নেই। নেই কোনও ভাল শৌচাগার। স্কুলের কোনও সংস্কারও হয় না বহুদিন ধরে।
শিক্ষকদের অভিযোগ, রাত হলেই স্কুলের মধ্যে বসে নেশার আসর। শুধু তাই নয় বিভিন্ন ধরনের নোংরা কাজকর্মও চলে স্কুলের মধ্যেই। বহুবার প্রশাসনকে জানানোর পরেও কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। স্কুলের চারপাশ আবর্জনায় ভরে রয়েছে। মদের বোতলে পড়ে রয়েছে চারদিকে। শিক্ষক-শিক্ষিকাদের আবেদন বিদ্যালয়ের পরিকাঠামোর উন্নয়ন করে স্কুলের পরিবেশ ঠিক রাখার ব্যবস্থা করা হোক।