ছবি: নজিরবিহীন! কথা তো দূর, বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রীকে দেখলেনই না রাজ্যপাল
সুতপা সেন: সংবিধান দিবস উপলক্ষে রাজভবনে এলেন জগদীপ ধনখড়। কিন্তু নজিরবিহীনভাবে মুখ্যমন্ত্রীকে এড়িয়ে গেলেন রাজ্যপাল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিকে ফিরে তাকালেন না ধনখড়।
সংবিধান দিবস উপলক্ষে বিকেল ৫.৩৮টা নাগাদ বিধানসভায় ঢোকেন জগদীপ ধনখড়। তার অনেক আগেই প্রবেশদ্বারে তাঁকে স্বাগত জানানোর অপেক্ষা করছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
নির্ধারিত সময়ে রাজভবনের গেটে এসে থামল রাজ্যপালের গাড়ি। নেমে এলেন জগদীপ ধনখড়। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর দিকে একবারও তাকালেন না। সোজা হেঁটে গেলেন।
আম্বেদকরের মূর্তির সামনে দাঁড়িয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা আবদুল মান্নান ও সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী। মান্নানের কাছে নমস্কার করে রাজ্যপাল বলেন,'হাউ আর ইউ।' মালা দিলেন আম্বেদকরের মূর্তি। সাংবাদিকদের নমস্কার করেন রাজ্যপাল।
তখনও দূরে দাঁড়িয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দৃশ্যতই মুখ্যমন্ত্রীকে গম্ভীর দেখাচ্ছিল। বিধানসভার ভিতরে ঢুকলেন রাজ্যপাল। তখনও তাকালেন না মুখ্যমন্ত্রীর দিকে। সোজা এগিয়ে গেলেন।
রীতি অনুযায়ী, স্পিকার নিজের আসন ছেড়ে দেন রাজ্যপাল। সেখানে সংবিধান দিবস উপলক্ষে ভাষণ দেন জগদীপ ধনখড়। রাজ্যপালের ঠিক ডান দিকে বসেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু একবারও তাকাননি ধনখড়।
ভাষণ শেষ করার পর বিধায়কদের সকলের দিকে নমস্কার করে বেরিয়ে যান রাজ্যপাল। তাঁকে গাড়ি পর্যন্ত তুলে দেন স্পিকার। মুখ্যমন্ত্রী পিছনে দাঁড়িয়েছিলেন।
রাজ্যপাল-রাজ্য সংঘাত এখন তুঙ্গে। রাজ্যপালকে নাম না করে বিজেপির মুখপাত্র বলে তোপ দেগেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাল্টা তাঁর সাংবিধানিক অধিকার স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন জগদীপ ধনখড়। কিন্তু সংঘাতে আবহে সৌজন্যে সাধারণত খামতি থাকে না। কিন্তু জগদীপ ধনখড় সেই সাংবিধানিক সৌজন্য রক্ষা করলেন না বলে মত অনেকের। তাতপর্যপূর্ণভাবে সেটা সংবিধান দিবসে উদযাপনের অনুষ্ঠানে।