এক ধাক্কায় অনেকটাই বাড়ল ৩২টি নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম
ফের কয়েকটি জিনিসের ওপর আমদানি শুল্ক বসাল সরকার। ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ প্রকল্পকে আরও জোরদার করতেই কেন্দ্রীয় সরকারের এই পদক্ষেপ।
মঙ্গলবার সংসদে জানানো হয়েছে, বেশিরভাগ দ্রব্যের ক্ষেত্রেই ২০ শতাংশ শুল্ক বাড়ানো হয়েছে।
বুধবার থেকে ৩২টি জিনিসের দাম বাড়ল। স্বদেশি ব্যবসাকে বাড়াতেই এই উদ্যোগ বলে জানা গিয়েছে।
কয়েক সপ্তাহ আগেই এক দফায় বেশি খানিকটা বাড়ানো হয়েছিল আমদানি শুল্ক। এবার ৩২টি ভোগ্যপণ্যের দাম বাড়ানো হল।
আমদানি শুল্ক বাড়ায় দাম বাড়ল জামাকাপড়ের। পোশাকের ওপর ২০ শতাংশ শুল্ক বাড়ানো হচ্ছে। এর ফলে জামা কাপড়ের দাম অনেকটাই বেড়ে যাবে। এখন পোশাকের উপর ৫ থেকে ১০ শতাংশ শুল্ক নেওয়া হয়।
দাম বাড়তে চলেছে পুরুষ ও শিশুদের জ্যাকেট, মেনস্ টি-শার্ট, ট্রাউজার্সের।
শিশুদের জামাকাপড়ের ওপরও ২০ শতাংশ শুল্ক বসছে।
দাম বাড়তে চলেছে মহিলাদের অন্তর্বাসের।
স্নানের প্রসাধনী দ্রব্যের ওপরও ২০ শতাংশ শুল্ক বসছে গত বুধবার থেকেই।
শুধু মহিলাদেরই নয়, পুরুষদের অন্তবার্সেরও দাম বাড়বে এক ধাক্কায় অনেকটাই।
মহিলা, পুরুষ উভয়েরই জুতোর দাম বেড়েছে।
সুতির কার্পেটের দাম বাড়তে চলেছে।
দাম বাড়ছে মোবাইলের। প্রায় ৪০০-১৫০০ টাকা পর্যন্ত দাম বাড়বে বলে জানা গিয়েছে।
এক ধাক্কায় অনেকটা বেড়ে যাচ্ছে বিভিন্ন সংস্থার টেলিভিশন, হাতঘড়িরও। দাম বাড়ছে স্মার্টওয়াচেরও।
টেক্সটাইল সেক্টর এবং স্থানীয় উত্পাদন ক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে চাকরির সুযোগ বাড়ানোই একমাত্র লক্ষ্য কেন্দ্রীয় সরকারের।
সরকারের এই পদক্ষেপের ফলে প্রভাব পড়তে পারে চিন, তুরস্ক, ভিয়েতনাম, শ্রীলঙ্কা থেকে আমদানির ক্ষেত্রে। তবে এক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি লাভবান হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বাংলাদেশের।