ডুব ডুব ডুব সাগরতলে Museum; জলমগ্ন প্রাচীন ইতিহাস
আমাদের কবি বলেছিলেন ডুব ডুব ডুব রূপসাগরে আমার মন! আর এখন ডুব ডুব ডুব সাগরনিম্নে জাদুঘর। এই প্রথম গ্রিসে সাগরের জলের নীচে আস্ত এক মিউজিয়াম।
ইজিয়ান সাগরের (Aegean Sea) স্বচ্ছ নীলাভ জলরাশির নীচেই জমজমাট জাদুঘর। সাগরের নীচে ছড়িয়েছিটিয়ে অসংখ্য জিনিস। রয়েছে ডুবে যাওয়া জাহাজের ধ্বংসাবশেষ (ancient shipwreck)। রয়েছে ২ হাজার ৫০০ বছরের পুরোনো মদের পিপে। যত্নের সঙ্গে সব সাজিয়ে রাখা হয়েছে।
আর এসব দেখতে ভিড় জমিয়েছে মানুষ। মুখে অক্সিজেন মাস্ক, পরনে ডুবুরির পোশাক। জলতলের এই আয়োজন দেখতে ভিড় করছেন অনেকেই।
এ হল গ্রিসের প্রথম জলের তলার জাদুঘর। দেশটির অ্যালোনিসোস দ্বীপে ইজিয়ান সাগরের স্বচ্ছ জলের নীচে এই জাদুঘর বানানো হয়েছে। গত বছরই আনুষ্ঠানিক ভাবে জাদুঘরটি চালু হয়েছিল। বাদ সাধল করোনা। দর্শনার্থীদের সমাগম বন্ধ রাখা হল। এবছর অবশেষে সর্বসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হল এই জাদুঘরের দরজা।
জলের নীচের আয়োজন দেখতে যাঁরা আসছেন তাঁদের মধ্যে এক জনের বক্তব্য-- এক বিশেষ ও অনন্য ধাঁচের মিউজিয়াম। ডাইভিং ও প্রত্নতত্ত্বের অপূর্ব সমন্বয়। মনে হবে, যেন ইতিহাসে ডুব দেওয়া হল।
তবে সাগরের তলদেশে এ জগতে ঘুরে আসতে বাড়তি অর্থ গুনতে হবে দর্শনার্থীদের। সেখানে যেতে প্রতিবার দিতে হবে ৯৫ ইউরো বা ১১০ ডলার। সাধারণ স্কুবা ডাইভিংয়ের চেয়ে এ ব্যয় প্রায় ৫০ শতাংশ বেশি। এই জল-জাদুঘরে ঘুরে বেড়ানোর সময় দর্শনার্থীদের সাহায্য করার জন্য থাকবেন পেশাদার গাইড। সঙ্গে থাকবেন একজন প্রত্নতত্ত্ববিদ। তিনি সাগর ও সাগরে অভিযানসংক্রান্ত নানা প্রাচীন জিনিসের সঙ্গে দর্শনার্থীদের পরিচয় করিয়ে দেবেন।
করোনায় গ্রিসের অর্থনীতি বড় ধরনের ধাক্কা খেয়েছে। সমাধানে পর্যটনের উপরই বিশেষ নজর দিয়েছে দেশটি। জলের নীচের এই জাদুঘর পর্যটকদের নজর কাড়বে বলেই আশা দেশটির।
গ্রিসের পর্যটনমন্ত্রী হ্যারি থিওহ্যারিস বলেন, ব্যতিক্রমী এ জাদুঘরের মতো পর্যটনকেন্দ্রগুলিতে দেশি–বিদেশি দর্শনার্থী টানতে গত বছরই আইন পাস করে বিশেষ লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে। আশা করা হচ্ছে বছরজুড়ে এসব পর্যটনকেন্দ্র মানুষের পদচারণে ভরপুর থাকবে।