২০০ টাকা কেজি কাঁচা লঙ্কা! `আগুনে` বাজারে সবজির দাম চড়তে চড়তে কোথায় পৌঁছেছে, জানলে চোখ কপালে উঠবে
নিজস্ব প্রতিবেদন : একে করোনায় লকডাউনে ঘরবন্দি জীবন। আয়ে টান। তার উপর অগ্নিমূল্য বাজার। সবমিলিয়ে সাঁড়াশির চাপে নাভিশ্বাস উঠছে আমজনতার।
এদিন সকালে মানিকতলা বাজারে গিয়ে দেখা গেল, যে সবজিই কিনতে যাবেন, সেটাই ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে সবচেয়ে বেশি দাম কাঁচা লঙ্কা, টমেটো, বিনস আর ক্যাপসিকামের। কাঁচা লঙ্কার দাম ধরাছোঁয়ার বাইরে গিয়ে পৌঁছেছে!
বাজারে গিয়ে জিনিসে হাত দিলেই যে হাতে ছ্যাঁকা লাগার জোগাড়, সেকথা স্বীকার করে নিচ্ছেন বিক্রেতারা। তাঁরা বলছেন, কদিন আগেও সকাল ৮টা থেকে ৯টা, বাজারে এতটাই ভিড় থাকত যে দম নেওয়ার সময় থাকত না তাঁদের। কিন্তু এখন তার ঠিক উল্টো ছবি।
বাজারে এখন ক্রেতা নেই বললেই চলে। বিক্রেতারা-ই বলছেন, যেভাবে জিনিসের দাম বেড়ে চলেছে, তাতে ক্রেতাদের বাজারে না আসাটাই স্বাভাবিক। কারণ, করোনা-লকডাউন সবমিলিয়ে মানুষের পকেট এখন ফাঁকা।
চলুন দেখে নেওয়া যাক, মঙ্গলবার কোন সবজির বাজার দর কত? পটল ৪০ টাকা কেজি, ঢ্য়াঁড়শ ৫০ টাকা কেজি, পেঁপে ৫০ টাকা কেজি, চিচিঙ্গা ৪০ টাকা কেজি, ঝিঙে ৪০ টাকা কেজি, বেগুন ৫০ টাকা কেজি, কাঁচা লঙ্কা ১৫০ টাকা কেজি, টমেটো ১০০ টাকা কেজি।
ক্রেতাদের অভিযোগ, দাম এমনিতেই আগুন। তারউপর এই সবজিগুলোই আবার এক-একজন বিক্রেতা আবার এক-একরকম দামে বিক্রি করছে। কেউ কেউ কাঁচা লঙ্কা ১৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি করছে, কেউ কেউ আবার ২০০ টাকা কেজিতেই বিক্রি করছে!
ক্রেতারা বলছেন, শাক সবজির দাম তো বেড়েই চলেছে। তাতে হাত দেওয়া যাচ্ছে না। হাত দিলেই হাতে ছ্যাঁকা লাগছে। আলুটা যে খাব, সেটারও দাম ঊর্ধ্বমুখী।
সবমিলিয়ে মাথায় হাত মধ্যবিত্ত আম বাঙালির। কবে করোনা মিটবে? কবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে? সেদিকেই চাতক পাখির মত তাকিয়ে সবাই। কেউ কেউ অবশ্য অগ্নিমূল্য বাজারের জন্য প্রশাসনিক ব্যর্থতাকেই দায়ি করেছেন।