অভিজাত ব্যবসায়ী পরিবারে ভয়ঙ্কর ঘটনা, আত্মঘাতী তিন সদস্য
মাটিতে পড়ে রয়েছেন স্ত্রী ও মেয়ের নিথর দেহ। সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুলছেন ব্যবসায়ী। পাশের ঘরে অচৈতন্য অবস্থায় উদ্ধার এক ব্যবসায়ীর মা। বারবার কলিং বেল বাজিয়েও দরজা না খোলায় পরিবারের আত্মীয়রা দরজা ভেঙে ভিতরে ঢোকে। দৃশ্য দেখে সম্বিত্ হারান তাঁরা।
দিল্লির বুরারি পর এবার আমেদাবাদ। আবারও গণ আত্মহত্যার ঘটনা, একই সঙ্গে আত্মঘাতী হলেন একই পরিবারের তিন সদস্য। দেহের পাশ থেকে উদ্ধার সুইসাইড নোট। নেপথ্যে উঠে এল রোমহর্ষক কাহিনী।
বুধবার সকালে আমেদাবাদের অভিজাত আবাসন থেকে উদ্ধার হয়েছে বছর ৫০-এর ব্যবসায়ী কুনাল ত্রিবেদীর ঝুলন্ত দেহ। মাটিতে পড়েছিলেন তাঁর স্ত্রী কবিতা(৪৫) এবং মেয়ে শ্রীন(১৬)। অচৈতন্য অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে কুনালের মা জয়শ্রীবেনকেও(৭৫)।
বেশ কয়েকদিন ধরেই আত্মীয়রা ফোনে যোগাযোগ করতে পারছিলেন না ত্রিবেদী পরিবারকে। সন্দেহ হওয়ায় তাঁরাই খবর দেন পুলিশে। এরপর বুধবার ত্রিবেদীর পরিবারের ফ্ল্যাটের দরজা ভেঙে কুনাল, কবিতা এবং শ্রীনের দেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
পুলিশের অনুমান, সম্ভবত স্ত্রী এবং মেয়েকে আগে খুন করেছেন কুনাল। এবং তারপরে নিজে আত্মহত্যা করেছেন। পুলিশ জানিয়েছে দেহগুলি ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে অর্তি রয়েছে কুনালের মা জয়শ্রীবেন।
পুলিশ জানিয়েছে, ওই সুইসাইড নোটে আত্মহত্যার কারণ হিসেবে ‘অশুভ শক্তি’-র কথা লেখা ছিল। পুলিশের অনুমান ‘ব্ল্যাক ম্যাজিক’ বা ‘কালা জাদু’-তে বিশ্বাসী ছিল ত্রিবেদী পরিবার।
তিন পাতার ওই সুইসাইড নোটের পুরোটাই লেখা ছিল হিন্দিতে। ওই নোটে বারবার অশুভ শক্তির কথাও উল্লেখ করেছেন কুনাল।
মায়ের উদ্দেশে কুনাল লিখেছেন, “সবাই আমায় মদ্যপ বলত। কিন্তু আমি কোনোদিন নিজের ইচ্ছায় মদ খাইনি। অশুভ শক্তি আমার দুর্বলতার সুযোগ নিয়েছে।”
মায়ের প্রতি অভিযোগ জানিয়েছে কুনাল ওই সুইসাইড নোটে লিখেছেন , “মা আমায় বুঝতেন না। যদি বুঝতেন তাহলে আমার পরিবার অন্যরকমের
ত্রিবেদী পরিবার কোনও ঋণের বোঝায় জর্জরিত ছিল না বলেও চিঠিতে উল্লেখ করেছিলেন কুণাল। তবে ওই সুইসাইড নোটে একজন তান্ত্রিকের কথা উল্লেখ করেছেন তিনি। এমনটাই জানিয়েছে পুলিশ।