বেআব্রু রাজধানীর নিরাপত্তা! পুলিসের সামনেই খুলে আম গুলি বন্দুকবাজের
জামিয়া, শাহিনবাগের পর এবার জাফরাবাদ। দিল্লির বুকে আরও একবার খুলে আম গুলি। পুলিসের সামনেই বেপরোয়া বন্দুকবাজ। কেন বারবার বেআব্রু দেশের রাজধানীর নিরাপত্তা? ধর্ম আর রাজনীতির মিশেলেই কী রসাতলে যাচ্ছে রাজধানীর আইনশৃঙ্খলা?
পুলিসের সামনে বন্দুক উঁচিয়ে লাল টি-শার্ট পড়া এক যুবক। প্রথমে বন্দুক দেখিয়ে হুঁশিয়ারি। এরপর পুলিসের সামনেই ফায়ারিং। বেপরোয়া বন্দুকবাজের দাপটে পিছু হঠছেন কর্তব্যরত পুলিসকর্মী।
না, এই ছবি কোনওভাবেই দেশের রাজধানীর শোভাবর্ধন করছে না। CAA আন্দোলনের প্রেক্ষিতে গত দুমাস ধরে অগ্নিগর্ভ দিল্লি। একদিকে শাহিনবাগের অনড় আন্দোলন, অন্যদিকে, একের পর এক রাজনৈতিক নেতাদের দায়িত্বজ্ঞানহীন উস্কানিমূলক মন্তব্য। (অনুরাগ ঠাকুর, যোগী আদিত্যনাথ) একদিকে আন্দোলনকারী অন্যদিকে প্রশাসন ও গেরুয়া শিবির। এই যুদ্ধ যত অতিবাহিত হচ্ছে ততই নখ দাঁত বেরোচ্ছে ক্রমশ।
সাংবাদিক, পুলিস সবার সামনেই বন্দুক উঁচিয়ে জামিয়ায় গুলি ছুড়েছিল গোপাল নামে যুবক। জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে আন্দোলতরত পড়ুয়াদের দিকে গুলি ছুঁড়ে নিজেকে রামভক্ত বলে পরিচয় দিয়েছিল সে।
১ ফেব্রুয়ারি, ২০২০। শাহিনবাগে আন্দোলনকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়েন কপিল গুজ্জর নামে এক যুবক। এবারও প্রকাশ্যেই দাপট দেখায় বন্দুকবাজ।
দেশের রাজধানী। কখনও রাজনৈতিক স্লোগান তো কখনও ধর্মীয় স্লোগান। বন্দুক নিয়ে প্রকাশ্যে এসে গুলি ছুঁড়ছে বন্দুকবাজরা। প্রশ্রয় ? মদত ? নাকি বেলাগাম দৌরাত্ম? কেন রাজধানীর আইনশৃঙ্খলা রসাতলে? সময় এসেছে ভেবে দেখার। না হলে, অনেক বড় ক্ষতির মাশুন চোকাতে হবে দেশকে।
এখনও পর্যন্ত জাফরাবাদের ওই হাঙ্গামায় পুলিস কনস্টেবল রতনলালের প্রাণ গিয়েছে। নিহত হয়েছেন ফুরকান নামে এক যুবকও।