Ulto Rath Yatra 2024: চোখের নিমেষে লুঠ জগন্নাথদেবের ভোগের ৮০০ মালসা, নীরব দর্শক পুলিস!
বিধান সরকার: পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে যখন রত্ন ভাণ্ডার খোলা হচ্ছে ৪৬ বছর পর,কড়া পুলিসি নিরাপত্তার বেষ্টনীতে। সেই একই সময়ে হুগলীর গুপ্তিপাড়ায় পুলিসের চোখের সামনেই লুঠ হল জগন্নাথের খাদ্য ভান্ডার!
হুগলির গুপ্তিপাড়া বড়বাজার জগন্নাথ দেবের মাসির বাড়িতে তখন সারি দিয়ে দাঁড়িয়ে পুলিস আর জনতা।অপর দিকে দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকে লুঠপাটের চেষ্টা চলছে।এই দৃশ্য শুধু মাত্র দেখা যায় উল্টো রথের আগের দিন গুপ্তিপাড়াতে।
প্রায় শতাধিক স্থানীয় মানুষ গায়ে তেল মেখে জগন্নাথের প্রসাদ লুঠ করতে আসরে নামেন এদিন। যতক্ষণ না ভোগের মালসা হস্তগত করছেন, লড়াই চলে ততক্ষণ। ভোগের মালসা নিয়েই পা বাড়ান বাড়ির পথে। ৮০০ ভোগের মালসা নিমিষে লুঠ হয়ে যায়। ভোগের প্রসাদ পান উপস্থিত ভক্তরাও।
উল্টো রথের আগের দিন এই ভান্ডার লুঠ প্রথা চালু রয়েছে গুপ্তিপাড়ায়। গুপ্তিপাড়ার ২৮৫ বছরের প্রাচীন রথের বৈশিষ্ট্য হল ভাণ্ডার লুঠ। ভান্ডার লুঠের পিছনে রয়েছে পৌরাণিক কাহিনী, দ্বিতীয়ায় রথে চেপে মাসির বাড়ি আসেন প্রভু জগন্নাথ।
বেশ কয়েকদিন কেটে গেলেও গৃহে না ফেরায় লক্ষ্মী দেবী দুশ্চিন্তায় পড়ে যান। মনে দুশ্চিন্তাও আসে । তিনি জগন্নাথকে ফেরাতে দূত পাঠান। বহু অনুনয়-বিনয়েও মাসির বাড়ি ছেড়ে যেতে রাজি নন প্রভু জগন্নাথ।
দেবী লক্ষ্মী নিজে চেষ্টা করেন, সরষে পোড়া জগন্নাথের গায়ে ছোড়েন। কিন্তু তিনি বিফল হয়ে ফিরে যান। উল্টো রথের আগের দিন জমিদার বৃন্দাবন চন্দ্র ও কৃষ্ণচন্দ্র তারা দুজনেই সেই কথা জানতে পারেন।
পরে তারা লেঠেল নিয়ে গুপ্তিপাড়া মাসির বাড়িতে লুঠপাট চালান। ভালো ভালো খাবার না পেয়ে যাতে বাধ্য হয়ে প্রভু মাসির বাড়ির ত্যাগ করেন। সেই থেকেই চলে আসছে গুপ্তিপাড়ায় উল্টো রথের আগের দিন ভাণ্ডার লুঠ প্রথা।
ভাণ্ডার লুঠ দেখতে হাজির ছিলেন হুগলি গ্রামীণ পুলিশের ডিএসপি ক্রাইম অভিজিৎ সিনহা মহাপাত্র। তিনি বলেন, বহু প্রাচীনকাল থেকেই এই লুঠ চলে আসছে।
নিরাপত্তার কোন খামতি রাখা হয়নি। ড্রোন ক্যামেরা ও পর্যাপ্ত পরিমাণে পুলিস মোতায়েন রাখা হয়েছিল। তবে তিনি যেটা বলতে পারেননি তা হল পুলিশ ভাণ্ডার লুঠ আটকাতে পারেনি!