সেই `কালো` ছেলে আজ আলো ছড়াচ্ছেন ভারতীয় ক্রিকেটে, পাণ্ডিয়ার জন্মদিনে জেনে নিন তাঁর গলি থেকে রাজপথে আসার গল্প

Thu, 11 Oct 2018-2:02 pm,

বাবা হিমাংশু পাণ্ডিয়া ছিলেন সংসারের একমাত্র রোজগেরে। কিন্তু তিনবার তিনবার হার্ট অ্যাটাকের পর হিমাংশুবাবু শয্যাশায়ী হয়ে পড়েন। পাণ্ডিয়া-সংসারে তখন তীব্র অনটন। একেকদিন ঠিক করে খাওয়াও জোটেনি হার্দিক পাণ্ডিয়ার। পেটে খিদে নিয়েই মাঠে ট্রেনিং করেছেন তিনি। বাবা হিমাংশু পাণ্ডিয়াই একটা সময় হার্দিক ও তাঁর দাদা ক্রুনালকে ভদোদরায় ক্রিকেট ম্যাচ দেখাতে নিয়ে যেতেন। বাবার জন্যই তাঁদের ক্রিকেটের প্রতি তীব্র ভালবাসা জন্মেছিল, হার্দিক এক কথায় মানেন।

ক্লাস নাইন পর্যন্ত পড়াশোনা করেছেন পাণ্ডিয়া। তার পর পড়াশোনা ছেড়ে তিনি ক্রিকেটেই মনোনিবেশ করেন। 

হার্দিকের দাদা ক্রুনাল একবার একটা গল্প বলেছিলেন। ২০০৩-এ একবার বিশ্বকাপের আগে একবার কেনিয়ার ক্রিকেট দল বরোদায় প্র্যাকটিস করতে এসেছিল। স্থানীয় লোকজন সকাল থেকে কেনিয়ার ক্রিকেটারদের দেখার জন্য ভিড় করেছিল স্টেডিয়ামের বাইরে। কেউ কেউ আবার ক্রিকেটারদের সই সংগ্রহ করার জন্য বিভিন্নভাবে চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু কোনওভাবেই পারছিলেন না। ক্রুনাল বলছিলেন, সে সময় পাণ্ডিয়াকে পুরো কেনিয়ার বাচ্চাদের মতো দেখতে ছিল। তাই ভুল করে একদল লোক পাণ্ডিয়ার কাছেই সই চেয়ে বসেছিল।

ছোটবেলায় অনেকেই পাণ্ডিয়ার গায়ের রং নিয়ে টিটকিরি করতেন। ছেলেকে কেউ কালো বললে মেনে নিতে পারতেন না পাণ্ডিয়ার মা। বহুবার ছেলের গায়ের রং নিয়ে টিটকিরি করা মানুষদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিলেন পাণ্ডিয়ার মা। 

লেগ স্পিনার হিসাবে জীবন শুরু করেছিলেন পাণ্ডিয়া। কিন্তু কিরণ মোরে অ্যাকাডেমিতে ট্রেনিং শুরু করার পর কোচের নির্দেশে পেস বোলিং শুরু করেন তিনি। আসলে একটা স্থানীয় ম্যাচের সময় দলে পেসারের অভাব হয়েছিল। সেই ম্যাচে পাণ্ডিয়া পেস বোলিং করেন। এবং সাফল্য পান। তার পর থেকেই পেস বোলিং নিয়েই এগোতে থাকেন পাণ্ডিয়া। 

২০১৫-তে জন রাইট প্রথম পাণ্ডিয়ার মধ্যে প্রতিভা খুঁজে পান। তিনিই পাণ্ডিয়াকে মুম্বইয়ের আইপিএল দলে খেলার সুযোগ করে দেন। 

সৈয়দ মুস্তাক আলি টি-২০ টুর্নামেন্টের এক ম্যাচে একবার এক ওভারে ৩৯ রান করেছিলেন পাণ্ডিয়া। সাত বলের ওভার হয়েছিল। একটা নো বল ছিল সেই ওভারে। 

ZEENEWS TRENDING STORIES

By continuing to use the site, you agree to the use of cookies. You can find out more by Tapping this link