৪৮-এ পা মহারাজের! সৌরভের পাঁচটি সিদ্ধান্ত যা বদলে দিয়েছিল ভারতীয় ক্রিকেটের গতিপথ
২০০১ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে লক্ষ্মণকে তিন নম্বরে ব্যাট করতে নামানো - ইডেন টেস্টে ফনো অন করতে নেমে রাহুল দ্রাবিড়ের পরিবর্তে ওই টেস্টে ভিভিএস লক্ষ্মণকে তিন নম্বরে ব্যাট করতে পাঠান অধিনায়ক সৌরভ গাঙ্গুলি। বাকিটা ইতিহাস। লক্ষ্মণের অনবদ্য ২৮১ রান। রাহুল দ্রাবিড়ের সঙ্গে অমর পার্টনারশিপ। স্টিভ ওয়ার অশ্বমেধের ঘোড়া থামিয়ে দেন মহারাজ নিজের পাড়াতেই।
বীরেন্দ্র সেওয়াগকে দিয়ে ওপেন করানো- মিডল অর্ডার থেকে এক্কেবারে টপ ওর্ডারে। বীরেন্দ্র সেওয়াগকে দিয়ে ওপেন করানো ছিল মহারাজের মাস্টার স্ট্রোক। নিজের ওপেনিং স্লট ছেড়ে দিয়ে সচিনের সঙ্গে ওপেন করতে পাঠান সেওয়াগকে। একদিনের ক্রিকেটে ডাবল হান্ড্রেড আর টেস্টে ট্রিপল হান্ড্রেড সেওয়াগ করেছিলেন ওপেনার হিসেবেই।
রাহুল দ্রাবিড়কে দিয়ে কিপিং করানো- ২০০৩ বিশ্বকাপে রাহুল দ্রাবিড়কে দিয়ে কিপিং করানোর পরিকল্পনা ছিল সৌরভের অন্যতম সফল পরিকল্পনা।
ধোনিকে নির্বাচন আর পাকিস্তানের বিরুদ্ধে তিন নম্বরে তুলে এনে কিস্তিমাত- পরবর্তী ভারতীয় অধিনায়ক নির্বাচনের কাজটা হয়তো সৌরভই করে রেখে দিয়েছিলেন মহেন্দ্র সিং ধোনিকে ভারতীয় দলে নির্বাচন করে। অভিষেকের পরেই অফ ফর্মে থাকা ধোনিকে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে তিন নম্বরে ব্যাটিং করতে মাহিকে পাঠান মহারাজ। সেই ম্যাচে ধোনি ১৪৮ রান করেছিলেন।
একঝাঁক নতুন প্রতিভা তুলে আনা এবং তাদের ওপর আস্থা রাখা- বীরেন্দ্র সেওয়াগ , যুবরাজ সিং, হরভজন সিং, জাহির খান, মহেন্দ্র সিং ধোনির মতো ক্রিকেটারদের তুলে এনে তাদের ওপর আস্থা রাখা। ২০০০ সালে গড়াপেটা কেলেঙ্কারির পর সৌরভের হাত ধরে ভারতীয় ক্রিকেট ঘুরে দাঁড়ায়। বিদেশের মাটিতে টেস্ট জেতার ক্ষমতা যে টিম ইন্ডিয়াও রাখে সেটা সৌরভের নেতৃত্বেই করে দেখিয়েছিল সেইসময়।