Unesco World Heritage: বিশ্বঐতিহ্যে সামিল হরপ্পা-শহর ধোলাভিরা, রামাপ্পা
সদ্য ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজের তকমা পেল গুজরাটের (Gujarat) ধোলাভিরা-- হরপ্পা যুগের শহর (Dholavira, a Harappan-era city) এবং তেলেঙ্গানার (Telangana) কাকাতিয়া রুদ্রেশ্বর মন্দির, যা রামাপ্পা মন্দির নামেও পরিচিত।
ইউনেসকোর ৪৪ তম অধিবেশনে এই গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত ঘোষিত হল। ভারতের এই শেষতম ঘোষিত দুটি সাইট নিয়ে ভারতে হেরিটেজ সাইটের সংখ্যা দাঁড়াল ৪০টি।
গুজরাটের ধোলাভিরা (Dholavira), হরপ্পা যুগের শহর। UNESCO-র হেরিটেজ কমিটি এটিকে World Heritage Site ঘোষণা করল।
সেটিই বিশ্ব ঐতিহ্যস্থল যেখানে স্থানিক সংস্কৃতির সমস্ত ক্ষুদ্রতা মুছে গিয়ে বিশ্বসংস্কৃতির মাধুর্য উদযাপিত হয়। ধোলাভিরা তেমনই একটা জায়গা যেখানে ইতিহাস, ঐতিহ্য, সৌন্দর্য মিলেমিশে একাকার।
ধোলাভিরা নিয়ে গুজরাটের World Heritage Site-এর সংখ্যা দাঁড়াল চারটি। অন্য তিনটি হল চম্পানের, রানি কি ভাব এবং আমদাবাদ।
গুজরাটের Kutch জেলার Dholavira ভুজ থেকে ২৫০ কিলোমিটার।
ধোলাভিরা হল দক্ষিণ এশিয়ার প্রাচীনতম নগরসভ্যতার অন্যতম শ্রেষ্ঠ নিদর্শন যা সময়ের হাত এড়িয়ে আজও দাঁড়িয়ে।
হরপ্পা যুগের এই সভ্যতার নিদর্শন আজও আমাদের রোমাঞ্চিত করে।
গুজরাটের ধোলাভিরা ছাড়াও এবারের বিশ্ব ঐতিহ্য সম্মানে সম্মানিত হয়েছে তেলেঙ্গানার রুদ্রেশ্বর বা রামাপ্পা মন্দির। হায়দরাবাদ থেকে ২২০ কিলোমিটার দূরে তেলেঙ্গানার মুলুগু জেলার পালামপেট গ্রামে অবস্থিত। এই মন্দির ১৩শো শতকে তৈরি হয়েছিল ভগবান শিব, বিষ্ণু এবং সূর্যদেবকে উৎসর্গ করে। উঁচু মঞ্চের উপর তৈরি হয়েছিল মূল মন্দির। হাজার স্তম্ভযুক্ত মন্দিরটির প্রধান বিশেষত্ব এর দেওয়াল, ছাদ এবং স্তম্ভগুলির প্রাচীন কারুকার্য।