বাবার কথাই খালি মনে পড়ছে পান্ডিয়ার, লিখলেন আবেগঘন মেসেজ
বাবার অনেক অবদান রয়েছে তাঁর জীবনে। ছেলেকে ক্রিকেটার হিসাবে গড়ে তুলতে চেষ্টার কোনও ত্রুটি রাখেননি হিমাংশু কোহলি।
৭১ বছর বয়সী হিমাংশু কোহলি শনিবার প্রয়াত হয়েছেন। তাঁর দুই ছেলে হার্দিক ও ক্রুনাল বাবার শোকে বিহ্বল। ক্রুনাল সৈয়দ মুস্তাক আলি টি-২০ টুর্নামেন্ট ছেড়ে বাড়ি ফিরে এসেছেন ইতিমধ্যে।
হার্দিক বারবার তাঁর জীবনে বাবার অবদানের কথা বলেছেন। বাবা ও ছেলের মধ্যে বোঝাপড়াও ছিল অসাধারণ। কিন্তু এখন সেসবই অতীত। আর এটাই মেনে নিতে পারছেন না হার্দিক।
একের পর এক প্রতিবন্ধকতা পেরিয়ে উঠে এসেছেন হার্দিক। নিম্ন মধ্যবিত্ত বাড়ির ছেলে হওয়ায় তাঁকে সীমাহীন লড়াই করতে হয়েছে। আর এই লড়াইয়ে তাঁর পাশে সব সময় থেকেছেন বাবা হিমাংশু।
হার্দিক একাধিকবার সাক্ষাত্কারে জানিয়েছেন, তাঁর বাবা কীভাবে যে কোনও প্রতিকূল পরিস্থিতিতে তাঁর ও ক্রুনালের পাশে থেকেছেন! কীভাবে বাবাকে আদর্শ করে দুই ভাই জীবনে এগিয়েছেন!
বাবার মৃত্যু মেনে নিতে পারছেন না হার্দিক ও ক্রুনাল। বাবাই তাঁদের কাছে প্রথম হিরো। বাবাই তাঁদের বন্ধু, আত্মার আত্মীয়। সেই বাবাকে হারিয়ে তাই শোকে কাতর পান্ডিয়ারা।
হার্দিক এদিন বাবার জন্য আবেগঘন মেসেজ লিখেছেন। বাবার শেষকৃত্য সম্পন্ন হওয়ার পর আর নিজেকে আটকে রাখতে পারেননি হার্দিক।
হার্দিক লিখলেন, বাবা, তুমিই আমার হিরো। তোমাকে হারানো জীবনের সব থেকে কঠিন বাস্তব। তবে তুমি এত স্মৃতি দিয়ে গেলে যে প্রতিদিন তোমার হাসি মুখটাই আমাদের মনে পড়বে। তোমার ছেলেরা আজ যেখানে দাঁড়িয়ে আছে তাঁর জন্য সব কৃতিত্ব তোমারই প্রাপ্য। তোমার পরিশ্রম, আত্মবিশ্বাস, হাসি সব আমরা মিস করব। বাড়িটা তোমাকে ছাড়া আগের মতো থাকবে না। আমি জানি, তুমি আমাদের উপর থেকেও দেখবে। তুমি আমাদের উপর গর্বিত। নাও এবার শান্তিতে ঘুমোও। তোমাকে জীবনের প্রতিটা দিন মনে পড়বে।