এটি বিশ্বের সবচেয়ে দামি বাইক! জানেন কি কি আছে এই বাইকে?
তরুণ প্রজন্মের বেশির ভাগই গাড়ির চেয়ে বাইক বেশি পছন্দ করেন। সব সময় দাম বা তেলের খরচের বিষয়টি বিবেচিত হয় না। কারণ, এমন অনেক বাইক আছে যেগুলির দাম হার মানাতে পারে যে কোনও বিলাসবহুল চার চাকাকেও। বাইকের ব্যপারে যাঁদের টান একটু বেশি, তাদেরও চোখ কপালে উঠতে পারে এই বাইকটির কথা শুনলে।
বিশ্বের সবচেয়ে দামি বাইক তৈরি করল হার্লে-ডেভিডসন। পোশাকি নাম ‘ব্লু-এডিশন’ গত ৯ মে জুরিখে এক অনুষ্ঠানে ব্লু-এডিশনকে প্রকাশ্যে এনেছে সংস্থা।
বিশ্বের বাজারে ‘ব্লু-এডিশন’-এর দাম ১.৭৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। অর্থাত্, ভারতে বাইকটির দাম হবে প্রায় ১২ কোটি ২০ লক্ষ টাকা।
সুইত্জারল্যান্ডের বিখ্যাত গয়না ও ঘড়ি প্রস্তুতকারক সংস্থা ‘বুশারার’ এবং বাইক প্রস্তুতকারক সংস্থা ‘বান্ডানারবাইক’ যৌথ ভাবে প্রায় এক বছর ধরে এই বাইকটি ডিজাইন করেছে।
কেন এত দাম এই বাইকটির? জেনে নিন -
বাইকে যে স্ক্রুগুলো ব্যবহার করা হয়েছে সেগুলো সবই সোনার তৈরি! তাছাড়া বাইকটি সাজাতে মোট ৩৬০টি হিরে ব্যবহৃত হয়েছে! এ পর্যন্ত হার্লে-ডেভিডসনের কোনও মডেলেই ঘড়ি ছিল না। কিন্তু এই ব্লু-এডিশনে-এর ফুয়েল ট্যাঙ্কের ডান পাশে একটি ঘড়িও লাগানো হয়েছে। এই ঘড়িটিকে বাইকের ঝাকুনি থেকে বাঁচাতে ট্যাঙ্কের উপর একটি বিশেষ খাঁজ তৈরি করা হয়েছে। ঘড়িটিকে এই খাঁজে ধরে রাখার জন্য সিলিকন রিং দিয়ে বিশেষ হোল্ডার তৈরি করা হয়েছে।
বাইকটি দীর্ঘদিন বন্ধ থাকলেও ঘড়িটি বন্ধ হবে না। কারণ, এই হোল্ডারটি ঘড়িটিকে সচল রাখবে।
বাইকের ফুয়েল ট্যাঙ্কের এক পাশে ঘড়ি আর অন্য পাশে হিরের রিং বসানো রয়েছে। ঘরি আর হিরের রিং— এই দুইয়ের মেলবন্ধন বাইকের আকর্ষণ বহুগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। ছ’টি স্তরে রঙের কোটিং দেওয়া হয়েছে বাইকটিতে।