বিরোধী জোটের শক্তি প্রদর্শনে কর্ণাটকের সরকারি কোষাগার থেকে খসল ৪৩ লক্ষ!
কংগ্রেসের সমর্থন নিয়ে কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথগ্রহণ করেন কুমারস্বামী। শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে রীতিমতো চাঁদের হাট বসেছিল। সনিয়া গান্ধী ও কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী ছাড়াও বিরোধী দলের নেতানেত্রীরা হাজির ছিলেন ওই অনুষ্ঠানে।
কংগ্রেসের সমর্থন নিয়ে কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথগ্রহণ করেন কুমারস্বামী। শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে রীতিমতো চাঁদের হাট বসেছিল। সনিয়া গান্ধী ও কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী ছাড়াও বিরোধী দলের নেতানেত্রীরা হাজির ছিলেন ওই অনুষ্ঠানে।
বৃহত্ বেঙ্গালুরু মহানগর পালিকার কর্মীরা যখন বেতন পাননি, সেই সময় এই বিশাল খরচ নিয়ে প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। ৫ মাস ধরে বেতন না পওয়ায় আত্মহত্যাও করেছেন এক কর্মী।
কোন নেতার পিছনে কত টাকা খরচ হয়েছে?
বিজেপির সঙ্গে বিচ্ছেদের পর টিডিপি সুপ্রিমো তথা অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডু হাজির হয়েছিলেন শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে। সবথেকে বেশি খরচ হয়েছে তাঁর আতিথেয়তায়। ৮,৩৪,০৯৩ টাকার বিল মেটাতে হয়েছে কর্ণাটক সরকারকে।
দক্ষিণী সুপারস্টার কমল হাসানের জন্য খরচ হয়েছে ১,০২,০৪০ টাকা।
তবে এই তালিকায় আশ্বর্যজনকভাবে রয়েছে কেজরিওয়ালের নাম। নিজেকে আম আদমি বলে ক্ষমতায় এসেছিলেন তিনি। সেই আম আদমি মুখ্যমন্ত্রীর জন্য খরচ হয়েছে ১,৮৫,১৮৮ টাকা।
উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদবের জন্য খরচ হয়েছে ১,০২,৪০০ টাকা।
দলিতদের মসিহা মায়াবতীর হোটেল বিল ১,৪১,৪৪৩ টাকা।
উল্লেখ্য, ২০১৩ সালে কংগ্রেসের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়ার শপথ ও ২০১৮ সালে বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী ইয়েদুরাপ্পার শপথগ্রহণের জন্য এক টাকাও সরকারি কোষাগার থেকে খরচ হয়নি।
বিজেপির বক্তব্য, নিজেকে তৃতীয় বিকল্পের নেতা হিসেবে তুলে ধরতে চাইছেন দেবগৌড়া। মহাজোটের শক্তি দেখাতে হলে দলের টাকার খরচ করতে পারতেন। এসবই দেখতে পাচ্ছেন সাধারণ মানুষ।