সাধারণ জ্বর ভেবে ভুল করলেই বিপদ! চিনে নিন স্ক্রাব টাইফাসের উপসর্গগুলি
আবহাওয়া বদলাচ্ছে। একটু একটু করে প্রভাব পড়ছে বর্ষার। আর তার সঙ্গেই ঘরে ঘরে সর্দি-জ্বরের সমস্যা শুরু হয়েছে। আবহাওয়ার পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে ‘ভাইরাল ফিভার’-এর পাশাপাশি আতঙ্ক বাড়াচ্ছে ডেঙ্গি। অধিকাংশ ক্ষেত্রে রক্ত পরীক্ষার আগে পর্যন্ত বোঝাই যাচ্ছে না জ্বরের কারণ। কিন্তু সাম্প্রতিক কয়েকটি ঘটনা সাধারণ মানুষের পাশাপাশি চিন্তা বাড়িয়েছে চিকিৎসকদেরও। নতুন আতঙ্কের নাম ‘স্ক্রাব টাইফাস’!
‘স্ক্রাব টাইফাস’ এই নামের সৃষ্টি হয়েছে গ্রিক শব্দ typhus থেকে যার অর্থ হল ধোঁয়াটে বা অস্পষ্ট। ট্রম্বিকিউলিড মাইটস বা টিকের (tick) মতো পরজীবী মাকড়ের কামড় থেকে এই এই রোগের জীবানু ছড়ায়। ট্রম্বিকিউলিড মাইটস বা টিকের আকার ০.২ মিলিমিটার থেকে ০.৪ মিলিমিটার পর্যন্ত হয়। ‘স্ক্রাব টাইফাস’ একটি ব্যাকটেরিয়াঘটিত রোগ। প্রধানত ‘ওরিয়েনসিয়া শুশুগামুসি’ নামের ব্যাক্টেরিয়াই এ রোগের জন্য দায়ি।
ডেঙ্গি বা টাইফয়েডের সঙ্গে স্ক্রাব টাইফাসের উপসর্গগুলির অনেক মিল রয়েছে। সে জন্যই প্রাথমিক ভাবে এটিকে আলাদা করে শনাক্ত করা মুশকিল হয়। শরীরে জীবাণু সংক্রমিত হওয়ার প্রায় ১-২ সপ্তাহ পর শীত শীত ভাব, কাঁপুনি-সহ আকস্মিক জ্বর, মাথা ব্যথার মতো উপসর্গ দেখা দেয়। এই উপসর্গগুলি দেখা দেওয়ার ৩ থেকে ৫ দিন পরে শরীরের বিভিন্ন অংশে ফুসকুড়ি দেখা দেয়।
অনেকেই স্ক্রাব টাইফাসে আক্রান্ত হয়েছেন, আবার সম্পূর্ণ সেরেও উঠেছেন সকলেই। তাই এ নিয়ে অযথা ভয় পাওয়ার কিছু নেই। তবে সময় মতো চিকিৎসা শুরু করা না গেলে শিশুদের ক্ষেত্রে বড়সড় বিপদ ডেকে আনতে পারে স্ক্রাব টাইফাস।
শিশু-বিশেষজ্ঞ চিকিত্সক (চাইল্ড স্পেশালিস্ট) ডঃ অনিন্দ্য কুণ্ডুর। তিনি জানান, অ্যাজিথ্রোমাইসিনের মতো সহজলভ্য অ্যান্টিবায়োটিকের প্রয়োগে সহজেই এই রোগ নির্মূল হয়। অনেক ক্ষেত্রে তিন থেকে পাঁচ দিন ধরে চলা জ্বরের ক্ষেত্রে চিকিৎসকরা অ্যান্টিবায়োটিক দিয়ে থাকেন। আর তাতেই ধরা পড়ার আগেই সেরে যায় স্ক্রাব টাইফাস।