শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে অত্যন্ত কার্যকরী সহজলভ্য এই ফলটি! জানতেন?
খেজুর সহজলভ্য বলেই হয়তো এর উপকারিতা সম্পর্কে আমরা অনেকেই তেমন কিছু জানি না। ফ্রুকটোজ, গ্লাইসেমিক সমৃদ্ধ এই ফল শক্তি বা এ্যানার্জির একটি অন্যতম উৎস। ভিটামিন বি-৬ মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়ক। আসুন শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে এই ফলের উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক...
খেজুরের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ছাড়াও রয়েছে ভিটামিন এ, বি ম্যাগনেশিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, সালফার, প্রোটিন, ফাইবার এবং আয়রন। এই উপাদানগুলি শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে অত্যন্ত কার্যকর!
৩০ গ্রাম বা তিন-চারটি খেজুরে ক্যালোরি থাকে ৯০, ১ গ্রাম প্রোটিন, ১৩ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম, ২.৮ গ্রাম ফাইবার। ফলে বুঝতেই পারছেন এই ফল কত উপকারী! পুষ্টিবিদদের মতে, প্রতি ১০০ গ্রাম তাজা খেজুরে ভিটামিন-সি রয়েছে যা থেকে ২৩০ ক্যালরী (৯৬০ জুল) শক্তি উৎপাদন করে। পাকা খেজুরে প্রায় ৮০ শতাংশ শর্করা জাতিয় উপাদান রয়েছে।
খনিজ সমৃদ্ধ খেজুরে কোবাল্ট, বোরন, ফ্লুরিন, ম্যাঙ্গানিজ, ম্যাগনেসিয়াম, সেলেনিয়াম এবং জিঙ্কের মতো গুরুত্বপূর্ণ খাদ্য উপাদান রয়েছে। এ জন্যই প্রতিদিন খাবার পাতে ৩-৪টে খেজুর রাখার পরামর্শ দেন পুষ্টিবিদরা। শরীরে গ্লুকোজের অভাব দ্রুত পূরণ করতে সাহায্য করে খেজুর।
খেজুর দুধের সঙ্গে ফুটিয়ে খেলে শরীরে আয়রনের ঘাটতি পূরণ হয় সহজেই। এ ছাড়া লো ব্ল্যাড প্রেসারের সমস্যাতেও ডায়েটে খেজুর রাখার পরামর্শ দেন পুষ্টিবিদরা। খেজুর সারা রাত জলে ভিজিয়ে সকালে খালি পেটে সেই জল খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য অনেকাংশে দূর হয়। তাই নিয়মিত পাতে রাখুন খেজুর।