এ বছরেই করোনার টিকা বাজারে ছাড়ার তোড়জোড়! শেষ পর্বের ট্রায়াল শুরু করল দুই মার্কিন সংস্থা
রাষ্ট্রসঙ্ঘ জানিয়েছে, প্রতিষেধক ছাড়া করোনাভাইরাসকে রোখা প্রায় অসম্ভব! তাই প্রতিষেধক তৈরির কাজে গতি বাড়িয়ে চলতি বছরের মধ্যেই করোনার টিকা বাজারে ছাড়ার তোড়জোড় শুরু করে দিয়েছে বিশ্বের একাধিক প্রথম সারির ফার্মাসিউটিকাল সংস্থা।
এই তালিকায় রয়েছে ব্রিটিশ ফার্মাসিউটিকাল সংস্থা অ্যাস্ট্রা জেনিকা, ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট, ভারত বায়োটেক, মার্কিন ফার্মাসিউটিকাল সংস্থা মোদার্না আর ফাইজারের মতো বড় নাম। এর মধ্যে অক্সফোর্ডের বিজ্ঞানীদের তৈরি করোনার টিকার চূড়ান্ত পর্বের ট্রায়াল প্রায় শেষের পথে।
এর মধ্যেই করোনা প্রতিষেধক নিয়ে ট্রায়াল ও উৎপাদনের গতি বাড়িয়ে চলতি বছরের মধ্যেই করোনার টিকা বাজারে ছাড়ার তোড়জোড় শুরু করে দিল দুই মার্কিন ফার্মাসিউটিকাল সংস্থা মোদার্না আর ফাইজার। জানা গিয়েছে, এই দুই সংস্থাই আলাদা আলাদা ভাবে ৩০ হাজার স্বেচ্ছাসেবকের উপর তাদের তৈরি করোনার টিকার হিউম্যান ট্রায়াল শুরু করে দিয়েছে।
মোদার্নার গবেষকদের দাবি, COVID-19-এর জেনেটিক কোড কাজে লাগিয়েই এই mRNA-1237 ওষুধটি তৈরি করেছে মোদার্না। সংস্থার দাবি, mRNA-1237 ওষুধটি সরাসরি ভাইরাসকে ধ্বংস না করলেও শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বাড়িয়ে তুলে করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে।
সংস্থার বিজ্ঞানীদের দাবি, করোনা থেকে সুস্থ হয়ে ওঠা মানুষের শরীর থেকে সংগৃহিত অ্যান্টিবডির চেয়েও বহুগুণ শক্তিশালী অ্যান্টিবডি তৈরিতে সক্ষম এই mRNA-1237 প্রতিষেধক। এই প্রতিষেধক তৈরি হওয়ার পর প্রথম ৫ কোটি ডোজ মার্কিন প্রশাসনের কাছেই বিক্রি করবে মোদার্না। এর জন্য সংস্থার সঙ্গে ২০০ কোটি মার্কিন ডলারের চুক্তিও হয়ে গিয়েছে।