Heavy Rain Effects: ভয়ংকর বৃষ্টিতে বাঁধ থেকে ছাড়া হল বিপুল জল! প্লাবিত হল বিস্তীর্ণ এলাকা...
রিমালের প্রভাবে সিকিমে হওয়া ভারী বৃষ্টির জেরে মঙ্গলবার রাত থেকে তিস্তা নদীতে জল বাড়ে। রাতেই তিস্তা ব্যারেজ থেকে প্রায় ২ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হয়। এর জেরে গতকাল, বুধবার তিস্তা নদীর জলস্তর বেড়ে যায়। প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিং করে অ্যালার্ট করা হয়।
আজ, বৃহস্পতিবার সকালের ঘটনা। মাল ব্লকের বাগরাকোট গ্রাম পঞ্চায়েতের টোটগাঁও বস্তির কৃষিজমি ভরে গিয়েছে জলকাদায়। এই জলকাদায় আটকে পড়েছে এক বড় হাতি।
জানা গিয়েছে, ভোরের দিকে মংপং জঙ্গল থেকে হাতিটি খাবারের খোঁজে টোটগাঁও এলাকায় আসে। সকাল নাগাদ জঙ্গলে ফিরতে গিয়ে সে আটকে পরে তিস্তা নদী-সংলগ্ন টোটগাঁও এলাকার কৃষিজমির জল-কাদায়।
প্রাক্ বর্ষায় ডুয়ার্স-সহ উত্তরের পাহাড়ি এলাকায় শুরু হয়েছে বৃষ্টি। সেই জলরাশি এসে পড়ে তিস্তায়। তিস্তার জলস্তর অনেকটা বেড়ে যায়। সেই জলধারা তিস্তা দিয়ে বয়ে আসে নিম্ন-অববাহিকা এলাকায়।
আর এতেই সমস্যা পড়েন মাল ব্লকের টোটোগাঁও, গজলডোবা এবং ক্রান্তি ব্লকের বিভিন্ন এলাকার মানুষজন। মাল ব্লকের বাগরাকোট গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার প্রত্যন্ত টোটোগাঁও বস্তি এলাকায় জল ঢুকে পড়েছে। জল ঢুকে পড়ে কিছু বাড়িঘরেও।
গ্রামে জল ঢুকে পড়ায় মানুষের মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়। তিস্তা ব্যারেজ, গজালডোবা এলাকায়ও জল বাড়তে দেখা যায়। ব্যারেজের লকগেট খোলা থাকায় তিস্তার জলস্রোত ক্রান্তি ব্লকের পূর্ব দোলাইগাঁও, সাহেববাড়ি এলাকায়, আবাদি জমি-সহ বসতি এলাকায় ঢুকে যায়। এতেই সমস্যায় পড়েন পাট ও বাদামচাষিরা। অনেকের জমিতে জল ঢুকে তলিয়ে যায় সদ্য বেড়ে ওঠা পাট ও বাদামের ক্ষেত। স্থানীয়রা অভিযোগ করে জানান, জল বাড়ার পূর্বাভাস ছিল না, ফলে মাঠে শুকোতে দেওয়া কাঠ ও ফসল ভেসে গিয়েছে।