Vidyasagar Setu: বিদ্যাসাগর সেতুতে বন্ধ হয়ে গেল এই ধরনের যানবাহন চলাচল
কেবল পরিবর্তনের কাজের জন্য কাল মধ্যরাত থেকে বিদ্যাসাগর সেতুর উভয় দিকের লেন দিয়ে সম্পূর্ন রূপে বন্ধ হয়ে গেল ভারী পণ্যবাহী গাড়ি চলাচল। সেতু দিয়ে যাতায়াতের সময় যাত্রীরা মোটা পাইপের আদলে দড়ির মতো যে বাঁধন দেখতে পান, তারl আসলে অজস্র শক্তিশালী ইস্পাতের তার। যেগুলি সম্মিলিত ভাবে সেতুকে দুদিক দিয়ে ধরে রাখে এবং এর কম্পনের ভারসাম্য বজায় রাখে। -তথ্য ও ছবি-অয়ন ঘোষাল
বাম আমলে তৈরি হওয়া এই সেতুর দৈনিক গাড়ির চাপ বিগত ১০ বছরে প্রায় ৩৫ শতাংশ বেড়েছে। বিভিন্ন জেলার সঙ্গে কলকাতা শহর তথা বন্দর এলাকায় যাতায়াতের ক্ষেত্রে কার্যত অপরিহার্য হয়ে দাঁড়িয়েছে এই সেতু। ফলে নিরাপত্তার স্বার্থেই সেতুর পূর্ণাঙ্গ রক্ষণাবেক্ষণ প্রয়োজন ছিল। -তথ্য ও ছবি-অয়ন ঘোষাল
কলকাতার নগরপাল বিনীত গোয়েল চলতি বছরের ১৭ই অক্টোবর একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়েছিলেন, ধাপে ধাপে মেরামতি এগোবে এবং সেই অনুযায়ী সেতুর ওপর গাড়ির চাপ কমানো হবে। পুজোর মরশুম সম্পূর্নরূপে কেটে যাওয়ার পর অবশেষে চলতি মাসের পঞ্চম দিন থেকেই সেই বিজ্ঞপ্তির বিধি আরও কঠোর ভাবে বলবৎ হল। -তথ্য ও ছবি-অয়ন ঘোষাল
আপাতত এই বিধি থেকে ছাড় দেওয়া হল যাত্রীবাহী বাস এবং ৬ চাকা পর্যন্ত পণ্যবাহী গাড়িকে। তার থেকে বেশি ভারী গাড়ির ক্ষেত্রে ট্রাফিক পুলিশ যে বিকল্প রুট দিয়েছে, তা হল বেহালা এবং আলিপুরের দিক থেকে আসা ভারী পণ্যবাহী গাড়ি বিদ্যাসাগর সেতুর বদলে হসপিটাল রোড, ধর্মতলা, চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউ, শ্যামবাজার পাঁচ মাথার মোড়, টালা সেতু, বি টি রোড হয়ে নিবেদিতা সেতু দিয়ে শহরের বাইরে যাবে। আবার টালিগঞ্জ-ভবানীপুরের দিক থেকে আসা পণ্যবাহী গাড়ি গুলি এক্সাইড মোড়, ধর্মতলা হয়ে নিবেদিতা সেতুতে যাবে। -তথ্য ও ছবি-অয়ন ঘোষাল
পুলিশ জানিয়েছে, বিদ্যাসাগর সেতুতে সবচেয়ে বেশি বন্দর এলাকার পণ্যবাহী লরি ট্রেলার চলাচল করে। সেগুলিকে হেস্টিংস মোড় থেকে ঘুরিয়ে স্ট্র্যান্ড রোড, কিংস ওয়ে, ধর্মতলা হয়ে পাঠানো হবে নিবেদিতা সেতুতে। ফেরার রুট ও একই থাকবে। কাজ সম্পূর্ন শেষ না হওয়া পর্যন্ত এই বিধি বলবৎ থাকবে। -তথ্য ও ছবি-অয়ন ঘোষাল