স্বর্গ-নরকের এমন সহাবস্থান কখনও দেখেছেন!
নাম ওয়াট রং খুন। থাইল্যান্ডে একে হোয়াইট টেম্পল বা সাদা মন্দির বলে ডাকে দর্শনার্থীরা। এই মন্দিরের ভাবনা স্বর্গ ও নরকের পাশাপাশি সহাবস্থান।
এই মন্দিরের স্থাপত্যকার চালের্মচাই কোসিটপিপাট। তাঁর মস্তিস্কপ্রসূত তৈরি হয়েছে মন্দিরখানি। তিনি চেয়েছিলেন পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর মন্দিরটি তৈরি করতে।
মন্দিরের প্রবেশপথে দেখা যাবে অসংখ্য মানুষের হাত। এটাকেই নরক হিসাবে তুলে ধরা হয়েছে। ক্ষুধার্ত মানুষের লোভ, অহংকার, আর্তি সবাই ধরা পড়েছে স্থাপত্যে।
বৌদ্ধ ধর্মের প্রভাব রয়েছে এই মন্দিরে। নরকের উপর দিয়ে চলে গিয়েছে একটি সেতু। সেই সেতুর সম্মুখে দাঁড়িয়ে স্বর্গের প্রহরীরা। আপনাকে অভ্যর্থনা জানাতে সবসময় তত্পর তাঁরা।
এই মন্দিরে সেতুখানি উল্লেখযোগ্য অর্থ বহন করছে বলে মনে করেন স্থাপত্যকারী। বৌদ্ধ ধর্মের মতে, এই সেতুটি হল নরক থেকে স্বর্গে উত্তীর্ণ হওয়ার এক মাত্র পথ।
এরপর বিরাজমান যে মন্দির, তার শরীরে সর্বত্র আধুনিক এবং সাবেক শিল্পকলার ছোঁয়া। থাইল্যান্ডের ধর্ম এবং সংস্কৃতির ছোঁয়া সর্বত্র।
জেনে নেওয়া যাক এই ভাস্কর্যকলার রূপকারের সম্বন্ধে। আগেই বলেছি, তিনি হলে চালের্মচাই কোসিটপিপাট।
কোসিটপিপাটের জন্ম থাইল্যান্ডের চিয়াং রাইয়ে। সে দেশের শিল্পকলা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক হয়ে থাইল্যান্ডের বিভিন্ন বৌদ্ধস্তূপের তৈরির কাজে হাত লাগান তিনি।
সাবেক শিল্পের সঙ্গে আধুনিকতার ছোঁয়া মিশিয়ে নিজস্ব ঘরানার শিল্পকলা তৈরি করেছেন কোসিটপিপাট। এই মুহূর্তে তিনি শ্রীলঙ্কায় থাকেন।
দেশ বিদেশে কোসিটপিপাট এখন এতটাই জনপ্রিয় যে নিজেই ১০ হাজার ডলার খরচ করে যে কোনও প্রোজেক্ট ঝাঁপিয়ে পড়তে পারেন।
চিয়াম মাই-তে ২০১৪ সালের ভূমিকম্পে বড়সড় ক্ষতির মুখে পড়েছিল তাঁর তৈরি মন্দিরগুলি।
তবে, তিনি হেরে যাননি। এক দল ইঞ্জিনিয়ার সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়। তাঁদের সহযোগিতায় থাইল্যান্ডের মন্দিরগুলির পুনর্নিমাণ শুরু করেন তিনি।