Ayodhya Tourist Spots | Ayodhya Beyond Ram Mandir: শুধু রামমন্দির নয়, অযোধ্যায় আছে আরও অনেক দর্শনীয় স্থান
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: অযোধ্যার প্রধান আকর্ষণ রামমন্দির, তবে আমরা কীভাবে রামের অর্ধাঙ্গিনী সীতাকে ভুলে যেতে পারি। অযোধ্যায় গেলে সীতার রান্নাঘর দেখতে ভুলবেন না। মনে করা হয়, এই জায়গাতেই দেবী সীতা রান্না করতেন।
বর্তমানে রান্নাঘরটিতে সমস্ত প্রাচীন বাসন মজুত রাখা আছে। এটি রান্নার প্রাচীন পদ্ধতিগুলি প্রদর্শন করে যা ত্রেতা যুগে ব্যবহৃত হয়েছিল। ভারতে এমন খুব কম জায়গা রয়েছে যেখানে আপনি প্রাচীন রান্নার সম্পর্কীয় ঐতিহ্যগুলি খুঁজে পেতে পারেন।
রামায়ণে রামভক্ত হনুমানের তাৎপর্য সকলেরই জানা। সাধক তুলসিদাসের মতে, 'রামের চেয়েও বড় রামের দাস'। এবং সারা বিশ্বের হিন্দুরাই হনুমান ভক্ত। পাহাড়ে হনুমানের মন্দির পর্যটকদের মনে শক্তি জোগায়। অযোধ্যার আরও একটি দর্শনীয় স্থান হল এই হনুমান গড়ি। এই জায়াগাটি থেকে পুরো অযোধ্যার অসাধারণ দৃশ্য উপভোগ করা যায়।
গুপ্তার ঘাটের ইতিহাস সকলকেই এখানে আসার জন্য আকর্ষিত করে। এই প্রাচীণ স্থানটি সরযূ নদীর তীরে, যেখানে শ্রীরাম জল সমাধি নিয়েছিলেন। এই স্থানের পরিবেশ খুবই শান্ত, যা মানসিক চাপ দূর করতে সাহায্য করবে। এখানে গেলে আপনি প্রকৃত শান্তি অনুভব করবেন।
অযোধ্যা রামের মন্দির ছাড়াও আছে নাগেশ্বর মন্দির। বিশ্বাস করা হয় যে, এই মন্দিরটি শ্রীরামের ছেলে কুশ এই মন্দিরটি স্থাপণ করেছিলেন। মন্দিরটি শতাব্দী প্রাচীন।
শ্রীরাম এবং দেবী সীতার সম্পর্ক নতুন প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করে। তাঁদের প্রেমকাহিনী জানার জন্য কনক ভবন পরিদর্শন করতেই হবে। মনে করা হয় যে শ্রীরাম দেবী সীতাকে এই ভবনটি উপহার দিয়েছিলেন। যদি আপনি রামায়ণের গল্পকে আরও কাছ থেকে জানতে চান, তবে এই ভবনে অনেক অজানা কাহিনী জানার সুযোগ পাবেন।
ভরত কুন্ড হল অযোধ্যার গভীর স্টেপওয়েল। এই কুন্ডের নাম শ্রীরামের ভাই ভরত নাম অনুসারে। এই প্রাচীন স্থানে ভরত স্নান করতে যেতেন। এছাড়া এই স্থানে রাজা দশরথের প্রথম পিন্ডদান আচার অনুষ্ঠান পালন করা হয়।
রাম মন্দির ছাড়াও অযোধ্যায় অসংখ্য আইকনিক জায়গা রয়েছে যা পর্যটকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করবে। অযোধ্যা পরিদর্শন শুধুমাত্র হিন্দু ধর্ম বা সংস্কৃতি সম্পর্কে আপনার জ্ঞান বাড়ায় না বরং একজন ব্যক্তি হিসাবে আপনাকে উন্নতি করতেও সাহায্য করে।