ছোট পর্দার ছোট্ট বাবা ‘লোকনাথ’কে চেনেন?
মিষ্টি হাসি, ভাসা ভাসা চোখে অপার শান্তি, আর ছোট্ট চাঁদপানা মুখে চোখ জুড়ানো স্নিগ্ধতা- আপনাদের প্রিয় লোকনাথের আসল নাম অরণ্য রায় চৌধুরী।
জি বাংলার সিরিয়াল ‘জয় বাবা লোকনাথ’-এর ‘লোকনাথ’ এখন মন কেড়েছে বাংলার আবাল-বৃদ্ধ-বনিতাকে। শুধু অভিনয় দক্ষতাই নয়, তার কথা বলার ধরন, তার দুষ্টু-মিষ্টি স্বভাব, বুদ্ধিদীপ্ত আচরণে অরণ্য এখন আমাদের মনের অনেক কাছে। জেনে নিন তার আসল পরিচয়
বছর আটেকের ছোট্ট অরণ্য পড়ে ক্লাস থ্রি’তে। পড়াশোনার পাশাপাশি সমান তালে চালিয়ে যাচ্ছে অভিনয়। কখনও কল টাইম থাকে দুপুর ৩টে, কখনও আবার ভোরেও থাকে শুটিং। তাই সেটেই মাঝেমধ্যে পড়াশোনাটা সেরে ফেলতে হয় তাকে। ‘মা’ বই নিয়ে সেটে যান, সেখানেই চলে পড়াশোনা।
অরণ্যের পুরনো বাড়ি কৃষ্ণনগরে। তবে এখন শুটিংয়ের স্বার্থে মায়ের সঙ্গে কুঁদঘাটের বাড়িতে চলে এসেছে সে। ‘বাবা’ আর ‘ঠাম্মি’ এখনও থাকেন কৃষ্ণনগরেই।
পর্দায় যেমন শান্ত দেখেন, বাস্তবের লোকনাথ কিন্তু মোটেও শান্ত নয়। সেটে শুটিংয়ের ফাঁকে এপ্রাপ্ত থেকে ওপ্রান্ত ছুটে বেরায় সে। কেউ আদর করে ডাকলে আবার কোলের কাছে গিয়েও বসে!
শ্যুটিংয়ের ফাঁকে বল পেটানো চলে। চলে ক্যাচ প্র্যাকটিসও। আদ্যন্ত ক্রিকেট-ভক্ত অরণ্যের পছন্দের ক্রিকেটার ভারতের জাতীয় দলের ক্যাপ্টেন।
১৪ই জুন ছিল অরণ্য জন্মদিন। কেকে ফুটে ওঠে লোকনাথেরই প্রতিচ্ছবি। সেদিনও শুটিং করেছে সে। এই ছোটো বয়সেই কাজের প্রতি এত আসক্তি দেখে মুগ্ধ সিরিয়ালের পরিচালক থেকে শুরু করে সকলেই।
সিনেমা ওত দেখতে পছন্দ নয় অরণ্যে। বাড়িতে হাতে টিভির রিমোট পেলে কার্টুনই দেখে সে। ছোট্ট অরণ্যের পছন্দের কার্টুন ‘সিনচ্যান’।
কলকাতায় এসে মায়ের হাত ধরে ইতিমধ্যেই চিড়িয়াখানা, নিক্কোপার্ক ঘুরে ফেলেছে অরণ্য। ইচ্ছা আছে মিউজিয়াম যাওয়ার।
এখানে তাঁর বেস্টি বেণী আর গোপাল। ব্রেক’এর সময় বেণী, গোপালের সঙ্গে চুটিয়ে খেলাটা বাদ যায় না কোনওদিনই। তারাই যে তার ‘পার্টনার ইন ক্রাইম।’