#হেঁশেল: ইলিশ-কচুমুখীর ঝোল, জানুন উপকরণ ও প্রণালি
নিজস্ব প্রতিবেদন: মুখী কচু বা কচুমুখী বা গাঁটি কচু। খেতে লাজবাব। রান্নায় পড়লে স্বাদ বাড়িয়ে দেয়। মুখী কচুর নানান সুস্বাদু পদ হয়ে থাকে। কিন্তু এই মুখী কচু এবং ইলিশ মাছ (Ilish Fish) দিয়ে একটি দূরন্ত পদ বাংলাদেশের চাঁদপুরে খুব প্রসিদ্ধ।
নাম: ইলিশ-কচুমুখীর ঝোল
মুখী কচুতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ এবং ভিটামিন সি। ডায়েবেটিক রোগীদের জন্য মুখী কচু খুব উপকারী। আলুর বিকল্প হিসাবে এটি খাওয়া যায়। এছাড়া কচু ত্বক সুন্দর রাখতেও সাহায্য করে। দৃষ্টিশক্তি বাড়ায়।
ইলিশ মাছ (Ilish Fish), মুখী কচু বা কচুমুখী বা গাঁটি কচু, পেঁয়াজ বাটা, হলুদ ও লঙ্কা গুঁড়ো, মরিচ গুঁড়া, জিরে বাটা এবং গুঁড়ো, ধনে গুঁড়ো সরষের তেল, নুন এবং কাঁচামরিচ।
প্রথমে ইলিশ মাছগুলোকে (Ilish Fish) নুন, হলুদ এবং লঙ্কা গুঁড়ো দিয়ে হালকা করে ভেজে নিতে হবে। যেহেতু ইলিশ মাছ (Ilish Fish) অনেকেই কাঁচা খেতে ভালবাসেন। তাই না ভাজলেও হয়। তবে ভাজলেও বেশি কড়া করে ভাজবেন না।
এরপর ওই মাছ ভাজা তেলের মধ্য়ে আরও একটু সরষের তেল দিয়ে পেঁয়াজ বাটা দিতে হবে। এরপর জিরে বাটা এবং একটু নুন এবং জল দিয়ে কষাতে হবে। এরপর হলুদ, লঙ্কা, মরিচ, ধনে এবং জিরে গুঁড়ো দিয়ে ভাল করে নেড়ে নিতে হবে। মিশ্রণে আধ কাপ জল দিয়ে কষাতে হবে। মশলা থেকে তেল বেরিয়ে এলে কচুমুখীগুলো দিতে হবে।
ভাল করে কষিয়ে জল দিতে হবেএ এবং পরিমাণ মতো নুন দিতে হবে। এরপর ১০ মিনিট চাপা দিয়ে সেদ্ধ হতে দিন। ঝোল একটু বেশি হবে। মোটামুটি সেদ্ধ হয়ে এলে মাছের টুকরাগুলো ঝোলে দিয়ে দিতে হবে। গন্ধের জন্য উপর থেকে কাঁচা মরিচ দিতে হবে। এরপর ফুটতে দিন। ঝোল খানিকটা কমে এলে জিরে গুঁড়ো ছড়িয়ে নামিয়ে নিন। গরম গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন ইলিশ-কচুমুখীর ঝোল।