ঘূর্ণিঝড়ের সতর্কতা সত্ত্বেও কেন সমুদ্রে বার্জ? তদন্তে উচ্চপর্যায়ের কমিটি
নিজস্ব প্রতিবেদন: আরব সাগরে ঘূর্ণিঝড় 'তকতে'র (Tauktae) তাণ্ডবে ডুবে গিয়েছে পি-৩০৫ বার্জ। ভেসে গিয়েছে ONGC এর আরও চারটি ভেসেল। ঘটনায় প্রাণ গিয়েছে বহুজনের। ঘূর্ণিঝড়ের সতর্কতা সত্ত্বেও কেন তৈলক্ষেত্রে গিয়েছিল বার্জগুলি? নজর এড়িয়ে মুম্বই উপকূল থেকে ৭০ কিমি দূরে কীভাবে চলে গেল? এরকমই একাধিক প্রশ্ন উঠছে। এবার সেই সমস্ত প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে বুধবার উচ্চপর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করল কেন্দ্র।
তকতের সতর্কতার মধ্যেই মুম্বই উপকূল থেকে ৭০ কিমি দূরে বোম্বে হাই এলাকার হীরা তৈলক্ষেত্রে গিয়েছিল পি-৩০৫ বার্জ। বার্জটিতে ২৭৩ জন ছিলেন। সঙ্গে ছিল ছোট ভেসেলও। প্রবল ঝড়ে মঙ্গলবার বার্জটি ডুবে যায়। লাগাতার উদ্ধারকার্য চালাচ্ছে নৌসেনার ৫ জাহাজ ও একটি হেলিকপ্টার। বুধবার সকাল পর্যন্ত ৬৩৮ জনকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। মৃত অবস্থায় উদ্ধার হয়েছেন ২২ জন। মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনায় এত প্রাণহানির দায় কার?
গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখতে ভারত সরকারের পেট্রোলিয়াম ও প্রাকৃতিক গ্যাস মন্ত্রকের দ্বারা ৩ সদস্যের উচ্চপর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিতে রয়েছেন ডিরেক্টর জেনারেল অফ শিপিং শ্রী অমিতাভ কুমার, ডিরেক্টর জেনারেল অফ হাইড্রোকার্বনস শ্রী এস.সি.এল দাস এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের জয়েন্ট সেক্রেটারি শ্রীমতি নাজলি জাফরি শায়িন।
কোন কোন বিষয়ে তদন্ত করা হবে? ১) বার্জ ও ভেসেলগুলির নোঙর করা থেকে ডুবে যাওয়া, পুরো ঘটনা কীভাবে ঘটল, তা খতিয়ে দেখা হবে। ২) মৌসম ভবনের সতর্কবার্তা মানা হয়েছিল কিনা এবং সেইমতো আগে থেকে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল কিনা তাও দেখা হবে। ৩) জলযানগুলি ঠিকঠাক নোঙর করেছিল কিনা, বিপর্যয় মোকাবিলা প্রস্তুতি ছিল কিনা এবং Standard Operating Procedures (SOPs) মানা হয়েছিল কিনা তা খতিয়ে দেখবে কমিটি।
গোটা তদন্ত শেষের পর কেন্দ্রকে এ বিষয়ে রিপোর্ট দেবেন তাঁরা। একইসঙ্গে ভবিষ্যতে যাতে এরকম দুর্ঘটনা না ঘটে সে বিষয়টিও নিশ্চিত করা হবে।