পুজোয় ক্লাবগুলিকে সরকারি অনুদানে অন্তর্বতী স্থগিতাদেশ হাইকোর্টের
পুজোয় ক্লাবগুলিতে সরকারি অনুদান দেওয়ার উপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ জারি করল কলকাতা হাইকোর্ট।
পুজোয় ক্লাবগুলিকে টাকা দেওয়ার প্রসঙ্গে হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়। প্রসঙ্গত, ক্লাবগুলিকে ১০ হাজার টাকা করে অনুদান দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিল রাজ্য সরকার।
সেই মামলার শুনানি চলাকালীনই পুজোয় ক্লাবগুলিকে অনুদান দেওয়ার বিষয়ে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ জারি করলেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি দেবাশিষ করগুপ্ত।
৯ অক্টোবর মঙ্গলবার মামলার পরবর্তী শুনানি। তার আগে কোনও ক্লাবকে অনুদান দেওয়া যাবে না বলে স্পষ্ট জানিয়েছেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি দেবাশিষ করগুপ্ত।
এদিন রাজ্য সরকারের কৌঁসুলির কাছে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি দেবাশিষ করগুপ্ত জানতে চান, জনসাধারনের টাকা ঠিক কী পরিপ্রেক্ষিতে ব্যবহার করা হচ্ছে? গাইডলাইন ছাড়াই কি প্রত্যেক পূজো কমিটি টাকা পাচ্ছে? চেক ভালভ কি কিছু আছে? এই সব প্রশ্নের উত্তর হলফনামা দিয়ে রাজ্যকে জানাতে নির্দেশ দেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি।
উত্তরে সরকারি কৌঁসুলি জানান, ক্লাবকে দেওয়া এই টাকা সেফ ড্রাইভ সেভ লাইভের জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে।
সরকারি কৌঁসুলির মুখে একথা শুনে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি দেবাশিষ করগুপ্ত পাল্টা সতর্কবাণী শোনান। বলেন, "মনে রাখবেন, এটা জনসাধারনের টাকা।" জানতে চান, "কোনও সুরক্ষাকবচ আছে কি?"
ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি আরও জানতে চান, "শুধু কি দুর্গাপুজোয় টাকা দেন? অন্য উতসবেও কি এভাবে টাকা দেওয়া হয়?" ১৯ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলাটি দায়ের হয়। তারপরেও কীভাবে ২৪ সেপ্টেম্বর অনুদান দেওয়ার নোটিফিকেশন জারি করা হয়? জানতে চান তিনি।
এরপরই মামলাকারীর পক্ষে আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য জানান, ইতিমধ্যেই একডালিয়া সহ বেশ কিছু পুজো কমিটিকে টাকা বিলি হয়েছে।
যা জানার পরই সঙ্গে সঙ্গে টাকা দেওয়া বন্ধের নির্দেশ দেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি দেবাশিষ করগুপ্ত। আপাতত কোনওরকম টাকাই সরকারের তরফে ক্লাবগুলোকে দেওয়া যাবে না বলে স্পষ্ট জানান তিনি।
একইসঙ্গে, রাজ্যের ভাঁড়ারে যদি টাকা না-ই থেকে থাকে, তবে সেক্ষেত্রে সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফ প্রকল্প কতটা যুক্তিযুক্ত? সে প্রশ্নও তোলেন তিনি।