``বাবা আমি জীবনে একবার প্লেনে চড়তে চাই``, উত্তরে হিমা দাসকে কী বলেছিলেন তাঁর বাবা জানেন?

Thu, 16 Aug 2018-3:20 pm,

অনূর্ধ্ব ২০ বিশ্ব জুনিয়র চ্যাম্পিয়নশিপে সোনা জয়ী অ্যাথলিট আসামের হিমা দাস। অ্যাথলেটিক্সের হাত ধরে তাঁর জীবনের একটা বড় স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। হিমা ছোট থেকেই স্বপ্ন দেখতেন প্লেনে চড়ার।

ছোট থেকেই ভিড়ের মধ্যে নিজেকে আলাদা রাখার কথা ভাবতেন হিমা। তাই জন্য হিমা চুলে সোনালী রঙ করেছিলেন। তাঁর যুক্তি ছিল, এই সোনালী রঙের চুলটাই তাঁকে অন্যদের থেকে আলাদা করে রাখতে সাহায্য করবে।

কোচ নবজিত্ মালাকার সবার আগে হিমার মধ্যে প্রতিভা খুঁজে পেয়েছিলেন। তিনিই হিমার বাবাকে গিয়ে বলেন, তাঁরা এই প্রতিভাবান মেয়েকে গুয়াহাটিতে নিয়ে গিয়ে ট্রেনিং করাতে চান। প্রথমে হিমার বাবা রাজি না হলেও পরে সম্মতি দেন।

''ছোট থেকে কখনও ও ছেলে ও মেয়েদের মধ্যে ফারাক করত না। আমরা যা করতাম ও তাই করত। অনেক সময় ও যা করত আমরা করতে পারতাম না। হিমা মনে করে,  ছেলে আর মেয়েদের মধ্যে কোনও তফাত নেই।'' বলছিলেন হিমার দাদা জয় দাস। 

অনূর্ধ্ব ২০ বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে মেয়েদের ৪০০ মিটার দৌড়ে এখন সব থেকে দ্রুতগতির অ্যাথলিট হিমা। 

''আমি যে কোনও দৌড়ের আগে নিজেকে নিজে বলি, কোনও চিন্তা নেই। কোনও চাপ নেই। তুমি মজা করে দৌড়াও।'' বলছিলেন আসামের নগাঁও জেলার ঢিং গ্রামের মেয়ে হিমা।

৪০০ মিটার রেসকে ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ড  ইভেন্টে সব থেকে কঠিন বলে ধরা হয়। কারণ, এই রেস জিততে স্ট্র্যাটেজির দরকার পড়ে সব থেকে বেশি।যদিও হিমার কোচ বলছেন, ''ও সব সময়ই গতির উপর বিশ্বাস রেখেছে।আর বিপক্ষের থেকে ও বেশিরভাগ সময়ই অনেকটা বেশি আত্মবিশ্বাস নিয়ে ট্র্যাকে নামে।''

বাবা, আমি জীবনে একবার অন্তত প্লেনে চড়তে চাই। উত্তরে হিমার বাবা বলেছিলেন, ভাল করে পড়াশোনা করো। তা হলেই পারবে। কিন্তু হিমা বোধ হয় জীবনটাকে একটু অন্যরকমভাবে ভেবে রেখেছিলেন। আসামের ছোট্ট গ্রামের মেয়েটা প্রমাণ করে ছাড়লেন, পড়াশোনা কম করলেও অনেক সময় জীবনের অনেক স্বপ্ন পূরণ করা যায়। তার জন্য প্রয়োজন হয় অদম্য জেদ।

ZEENEWS TRENDING STORIES

By continuing to use the site, you agree to the use of cookies. You can find out more by Tapping this link