Holi 2021: কেন করা হয় ন্যাড়া পোড়া? জেনে নিন পুরাণ কাহিনী
নিজস্ব প্রতিবেদন: 'আজ আমাদের ন্যাড়া পোড়া কাল আমাদের দোল, পূর্ণিমাতে চাঁদ উঠেছে বলো হরিবোল...' কেন পালন করবেন ন্যাড়া পোড়া? কী তাঁর নেপথ্য কাহিনী? দোলের আগের দিন কারর কাছে ন্যাড়া পোড়া তো কারর কাছে হোলিকা দহন। পুরাণে এই দিনে অশুভ শক্তিকে হারিয়ে শুভ শক্তির জয় হয়েছিল। সেই জয়ের উদযাপনই হয় এই দিন।
রাক্ষস রাজা হিরণ্যকশিপ তার প্রজাদের উপর অত্যাচার চালাত। যে অত্যাচারে অতীষ্ঠ হয়ে ওঠেন প্রজাগণ। এদিকে রাজাকে দমন করা সম্ভব নয় কোনও মতে। কারণ, রাজা ব্রহ্মার বর পেয়েছিলেন। যে বরে তিনি নিজেকে অমর মনে করতে।
৫ বরের মধ্য়ে রয়েছে কোনও মানুষ বা কোনও প্রাণী তাঁকে মারতে পারবে না। ঘরের ভেতরে বা ঘরের বাইরে তাঁর মৃত্যু হবে না। তাঁর মৃত্যু দিনেও হবে না, রাতেও হবে না। অস্ত্র দ্বারাও হবে না, অস্ত্র দ্বারাও হবে না। হিরণ্যকশিপুর মৃত্যু জমিতেও হবে না, জলেও হবে না, শূন্যেও হবে না। অমরত্ব লাভের তপস্যায় খুশি হয়ে বর দেন ব্রহ্মা।
হিরণ্যকশিপের সন্তান ছিলেন আবার বিষ্ণুর পুজারি। তাই প্রহ্লাদকে প্রাণে মারার চেষ্টা করেন রাজা।
হোলিকা দাদকে জানিয়েছিলেন, ব্রহ্মার বরে পাওয়া চাদর যদি তিনি জড়িয়ে আগুনের মধ্যে বসেন, তাহলে তাঁর আগুন লাগবে না। কিন্তু অন্যরা পুড়ে ছাই হয়ে যাবে। এই বরকেই কাজে লাগালেন হিরণ্যকশিপ।
কিন্তু ঘটনার পটভূমি বদলে যায়। বিষ্ণু তার ভক্তকে প্রাণ বাঁচাতে ঝোড়ো হাওয়া বইয়ে দিয়ে ওই চাদর দিয়ে দেন প্রহ্লাদ উপর। ঘটনাচক্রে চাদরে মুড়ে যান প্রহ্লাদ। পুড়ে ছাই হয়ে যায় হোলিকা। এই ঘটনার পর প্রজাগণ মনে করেন রাজা হিরণ্যকশিপুর অশুভ শক্তির চেয়ে ভক্তির শক্তি বেশি।
তাই এদিন অশুভ শক্তি তাড়াতে করা হয় ন্যাড়া পোড়া বা হোলিকা দহন পালন করা হয়।
ন্যাড়াপোড়া কবে পালন করা হয়, হিন্দু পঞ্জিকা অনুসারে, প্রতি বছর ফাগুন পূর্ণিমা রাতে ন্যাড়া পোড়া হয়। এবছর ২৭ মার্চন্যাড়া পোড়ার দিন স্থির হয়েছে। ২৮ মার্চ দোল।
কথিত আছে, হোলির আট দিন আগে ভক্ত প্রহ্লাদের ওপর রাক্ষসরাজ হিরণ্যকশিপু প্রচণ্ড নির্যাতন করেছিলেন। এই সময়কে বলা হয় হোলাষ্টক। কোনও শুভ কাজ এই সময়ে হয় না। ন্যাড়া পোড়া পালন করে সমস্ত অশুভ মুছে তারপর শুরু হয় পূজার্চনা।