Gangasagar: মকর স্নানের শেষ দিনেও প্রচুর মানুষের সমাগম গঙ্গাসাগরে
গতবারের তুলনায় এবার ভিড় অনেকটাই কম। তবুও শনিবার মকর স্নানের(Makar Sankranti) শেষ দিনে প্রচুর মানুষের সমাগম হল গঙ্গাসাগরে। নির্ঘন্ট মতো আজ বেলা বারোটা পর্যন্ত ছিল মকর স্নানের সময়সীমা। তবে আনুষ্টানিকভাবে মেলা চলবে রবিবার পর্যন্ত।
জেলা প্রশাসন সূত্রে দাবি, গতবারের তুলনায় এবার খুব বেশি হলে ২৫ শতাংশ ভিড় হয়েছে। তবে শুক্রবারের মতো শনিবারও দূরদূরান্তের মানুষ শনিবারও ঠান্ডার মধ্যে স্নান সারেন সাগরে। কোভিড বিধি(Covid Protocol) মেনেও ঠিক সময়ে স্নান সেরে নেওয়ার জন্য মানুষের তত্পরতা লক্ষ্য করা যায়।
মেলার প্রথম থেকেই কোভিড বিধি কঠোরভাবে লাগু করেছিল জেলা প্রশাসন। তবে স্নানের সময়ে যে তা মেনে চলা সম্ভব নয় তা বেশ বোঝা গেল। সৈকতে অধিকাংশ মানুষের মুখে মাস্ক ছিল না। তবে সৈকতের বাইরে যেসব মানুষের ভিড় লক্ষ্য করা গিয়েছে সেখানে মানুষকে মাস্ক ছাড়া কাউকে ঢুকতে দেয়নি জেলা প্রশাসন।
ভিড় সামাল দিতে এবার অতিরিক্ত স্বেচ্ছাসেবী, অতিরিক্ত পুলিস, বেশি সিভিস ডিফেন্স কর্মী মোতায়েন করা হয়। তবে স্নানের সময় মানুষ-সাধু-সন্নাসী সব মিলে মিশে একাকার। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে অবশ্য ভিড় অনেকটাই কমে যায়।
এদিকে, আনুষ্ঠানিকভাবে মেলা চলবে রবিবার পর্যন্ত। বেলা একটার পর সাগরের(Gangasagar) বিচ সাফাই অভিযান শুরু করে জেলা প্রশাসন।
জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, এবার মানুষের সমাগম হলেও কোভিডের খুব বেশি আতঙ্ক নেই। কারণ যারা এসেছেন তাদের সবাইয়ের ডাবল ভ্যাকসিন নেওয়া আছে, নয়তো তাদের আরটিপিসিআর(RTPCR) টেস্ট হয়েছে। পাশাপাশি এও জানা যাচ্ছে, কোনও অনভিপ্রত ঘটনা ছাড়াই এবার মেলা শেষ হয়েছে।
অসুস্থতার কারণে মোট ৬ জনকে এয়ার লিফট করে কলকাতা ও হাওড়ায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। প্রশাসনের তরফে ৩০ লাখ মানুষের ভিড় সামাল দেওয়ার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল। তবে লোকজন হয়েছে অনেক কম।
শনিবার স্নান শেষ হতেই সাগরতট সাফাইয়ের বড় উদ্যোগ নেওয়া হয়। মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস ও বঙ্কিম হাজরার নেতৃত্বে সাফাই অভিযানে নামে হাজার খানেক কর্মী। এইবারই প্রথম সাগরে সার্চিং অপারেশনে নামে এনডিআরএফের দুটি স্নিফার্ড ডগ। সাগরে ডুবন্ত মানুষের উদ্বারে লিলি ও রোমিও নামে ওই দুই কুকুরের জুড়ি মেলা ভার। মেলার আকর্ষণ ছিল পূণ্যতরী— সাগরের জল সমস্ত জেলায় পাঠানো। ছিল মেগা ইভেন্ট বারাণসীর আদলে সাগর আরতি।