Dakshin Dinajpur: অবলুপ্তির পথে গরগরি! ঐতিহ্য বাঁচাতে তিন পুরুষ ধরে ব্যবসা আগলে জইদুর মিয়া...

Rajat Mondal Sat, 23 Nov 2024-12:57 pm,

শ্রীকান্ত ঠাকুর: প্রায় অবলুপ্তির পথে বাংলার হুঁকা বা গরগরি একসময় যা ছিল আভিজাত্য প্রকাশের অন্যতম মাধ্যম, সেই হুঁকা বা গড়গরি একসময় নেমে আসে সাধারণ মানুষের হাতে। বাংলা সাহিত্য থেকে সিনেমা বা সাধারণ গ্রাম বাংলার চিত্র চিন্তা করতে বসলে হাতে হুঁকা ধরে বয়স্ক মানুষের ছবি খুবই পরিচিত। কিন্তু দিন গেছে সময় বদলেছে এখন তামাক সেবনের বিপক্ষেই মানুষকে আরো সচেতন করতে সরকারের প্রচার চলে। 

প্রকাশ্য ধূমপান বন্ধ হয়েছে দীর্ঘদিন আগেই। কিন্তু গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যকে বাঁচিয়ে রাখতে তিন পুরুষের ব্যবসা আজও ছাড়েননি দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুর ব্লকের বেলবাড়ির বাসিন্দা জয়দুর মিয়া। তিনি বিগত ৩৪ বছর ধরে একাই বললা কালীর মেলার উপলক্ষে এই গ্রাম্য মেলায় আসেন হুঁকা বা গরগরা বিক্রি করার জন্য। 

শুধু বল্লার মেলা নয় গ্রামীণ যেকোনো বড় মেলাতেই তিনি তার পসরা নিয়ে যান। এখনো চাহিদা রয়েছে,  নারকোলের মালা, মাটির কল্কে  এমনকি কালো তামাক কোন কিছুই অমিল নয়। তামাকের অবশ্য নানা রকম রয়েছে। দামি তামাক সুগন্ধিযুক্ত তা যেমন রয়েছে তেমনি কম দামি তামাকও আছে তার কাছে।

তিন পুরুষ আগে থেকে তাদের এই পারিবারিক ব্যবসা। আজও অমলিন সেই ব্যবসা। প্রতিবছরে বোল্লার এই গ্রাম্য মেলায় আসেন তিনি। বিক্রি বাটাও খুব একটা খারাপ হয় না। তিনি বলছেন যেহেতু এবার বর্ষা ভালো হয়েছে, মাঠে ধানের ফলন ভালো হয়েছে, ধান উঠতেও শুরু করেছে যার ফলে কৃষকদের হাতে দু-চার পয়সা বেশি এসেছে এবার। যার ফলে তার সুগন্ধি তামাক ও গড়গড়ার বিক্রি ভালো হবে। 

চার দিনের এই মেলায় তিনি পসরা সাজিয়ে বসেছেন বিক্রি করছেন হুঁকা ও গরগরা এবং গ্রামের বয়স্ক মানুষ তারা ভিড় জমান সারা বছরের প্রয়োজনীয় গড়গারা ও হুঁকা কিনে নেওয়ার জন্য। শুধু জেলার বললা মেলা নয়, জয়দেবের মেলা বোলপুরের শান্তিনিকেতনের মেলা ও কালীপুজোর সময় তারাপীঠেও তিনি একই পণ্য নিয়ে গিয়েছিলেন তিন পুরুষের ব্যবসা বুক দিয়ে বাঁচিয়ে রেখেছেন গঙ্গারামপুরের বেল বাড়ির বাসিন্দা জইদুর মিয়া। 

 

ZEENEWS TRENDING STORIES

By continuing to use the site, you agree to the use of cookies. You can find out more by Tapping this link