Sushant Singh Rajput: ফিরে দেখা এক বছর, `জাস্টিস` পেতে আর কতদিন?

Sun, 13 Jun 2021-7:41 pm,

নিজস্ব প্রতিবেদন- সুশান্তের মৃত্যুদিনকে তাঁর ফ্যানেরা ঘোষণা করলেন Anti Nepotism Day হিসাবে। কারণ অধিকাংশের বিশ্বাস, বলিউডের পরিচিত বৃত্তের বাইরে থেকে এসে  মেইনস্ট্রিম হিরো হওয়াটা অনেকেই ভালো চোখে দেখতে পারেন নি। বিশেষত, 'ধোনি' ছবিতে তাঁর অসাধারণ অভিনয় দেশের বিখ্যাত একটাও অ্যাওয়ার্ড না এনে দেওয়ায় আরও হতাশ অনুরাগীকুল। তাই তাঁদের  বিশ্বাস, খানিকটা হতাশায় ভুগতেন সুশান্ত। যদিও সেটাই তাঁর মৃত্যুর কারণ কিনা, সেটা অবশ্য এখনও নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। হ্যাঁ, এক বছর পরেও পরিবারের কাছে কোনও 'ক্লোজার' নেই।

বলিউডের বিখ্যাত কোরিওগ্রাফার-পরিচালক রেমো ডিসুজা। হঠাৎই তিনি জানালেন, সুশান্তকে নিয়ে তাঁর একটা ডান্স-ফিল্ম করার ইচ্ছা ছিল। পরিচালক রেমো  তাঁর ডান্স-ফিল্ম ABCD ও তার সিক্যুয়েল তৈরি করেছেন। তখন কোনওভাবেই তাঁর মনে হয়নি সুশান্তের কথা। তাই হঠাৎ তাঁর এমন ঘোষণায় ট্রোলিংয়ের শিকার তিনি।

সুশান্তের মৃত্যু হয় গত বছর ১৪ জুন। সেই থেকে তাঁর স্মৃতি, তাঁর সুবিচার চেয়ে লড়াই জারি রেখেছেন সুশান্তের বোন শ্বেতা। তাও সুদূর আমেরিকায় বসে। বারবার আবেদন রেখেছিলেন, সুশান্তের মৃত্যুর 'ক্লোজার' দেওয়া হোক তাঁর পরিবারকে। গোটা দুনিয়া জুড়ে #JusticeForSushant আন্দোলনের আকারে ছড়িয়ে দিয়েছেন তিনি। একবছর পরে সুশান্তের সেই  বোন শ্বেতা সিং কীর্তি, আপাতত সোশ্যাল মিডিয়া থেকে বিদায় নিয়ে গেছেন পাহাড়ে। খানিক নীরবতা আর শান্তিতে ভাইকে স্মরণ করতে।

সুশান্তের সবথেকে নৈকট্য ছিল তাঁর মায়ের সঙ্গে। চার দিদির পরে ভাই। তাই মায়ের আঁচলে আঁচলেই ঘুরে বেড়ানো। আকাশের তারায় তারায় মাকেই খোঁজা। মায়ের জন্মদিনেই শেষ ছবি পোস্ট করছিলেন অভিনেতা। 

 বাবা কে কে সিং রাজপুত দিল্লি আদালতের কাছে আবেদন রেখেছিলেন যাতে সুশান্তের জীবনের উপর কোনও ছবি তাঁর অনুমতি ছাড়া প্রকাশিত না হয়। কিন্তু সেই আবেদন নাকচ করে দিয়েছে দিল্লি আদালত। ছেলের মৃত্যুর ঠিক এক মাস পরে  বিহার পুলিসের কাছে কেসের অধিক্ষেত্র পরিবর্তন করার আবেদন জাগান তিনি। সুশান্তের তৎকালীন বান্ধবী রিয়া চক্রবর্তী ও তাঁর পরিবারের  বিরুদ্ধে একগুচ্ছ অভিযোগ আনেন তিনি। অভিযোগ আনেন সুশান্তের তৎকালীন ফ্ল্যাটমেট সিদ্ধার্থ পিঠানির  বিরুদ্ধেও, যেখান থেকে সুশান্তের অস্বাভাবিক মৃত্যুর তদন্ত নতুন করে শুরু হয়। CBI, ED আর NCB এই ত্রিফলা তদন্ত শুরু হয় অভিনেতার বাবার দাবি মেনেই। 

সে বড় সুখের দিন। ছোট্ট সুশান্ত আর তাঁর ৪ দিদি। মায়ের উৎসাহে বাড়িতে রাখিবন্ধন উৎসব।  একটা ছোট্ট হাতে কতগুলো আর রাখি ধরে? কিন্তু তাঁকে ঘিরে মধ্যবিত্ত পরিবারে আনন্দের মেলা।

কে কে সিংয়ের সব সন্তানই কৃতী। পড়াশোনায় সবাই অত্যন্ত ভালো ফল করেছেন। তার উপর এক কন্যা দেশের মহিলা ক্রিকেটের উজ্জল নাম। ভাই সুশান্ত যখন বলিউডের পরিচিত নাম, তখন বোনেদের আনন্দ আর ধরে না। তাঁকে ঘিরেই সব স্বপ্ন, সব প্রত্যাশা, সব অধিকারবোধ। শোনা যায়, ভাইও তা মেনে নিতেন অনায়াসে। পৃথিবীর নানা প্রান্তে ছড়িয়ে থাকলেও এমনই আত্মিক টান ছিল তাঁদের।

সুশান্তের মৃত্যুর পরে তাঁর বান্ধবী রিয়া চক্রবর্তীও একগুচ্ছ অভিযোগ আনেন তাঁর বোনেদের  বিরুদ্ধে। সবথেকে বড় অভিযোগ ওঠে ওযুধের প্রেসক্রিপশন নিয়ে। রিয়া আরও অভিযোগ করেন,  বোনেদের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক ছিল না সুশান্তের। এই ছবিগুলো অবশ্য অন্য কথা বলে।

যতবড় স্টারই হোন না কেন, সুশান্ত খুবই পারিবারিক ছিলেন। মধ্যবিত্ত পরিবারের মূল্যবোধ তাঁকে ঘিরে ছিল, বলেন তাঁর টেলিমিডিয়ার বন্ধুরাও।

কিন্তু স্বপ্নটা ছিল অনেক বড়। আকাশছোঁয়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন। আর সেই স্বপ্নগুলোকে লিখে রাখতেন। একটা একটা করে সাকার করতে হবে, সেই আশা নিয়ে। সুশান্তের অস্বাভাবিক মৃত্যুকে যখন নেহাতই  তদন্ত ছাড়াই 'আত্মহত্যা' বলে দেগে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছিল, তখন প্রতিবাদে গর্জে ওঠেন তাঁর প্রাক্তন বান্ধবী অঙ্কিতা লোখান্ডে বলেন, 'যে ছেলে এতবড় স্বপ্ন দেখে, সে আর যাই হোক আত্মহত্যা করতে পারে না।'

আকাশের তারা দেখতেন সুশান্ত। ঘণ্টার পর ঘণ্টা চোখ লাগিয়ে বসে থাকতেন টেলিস্কোপে। সপ্তর্ষিমন্ডল, নীহারিকা, স্বাতী নক্ষত্ররা ছিল তাঁর বিশেষ বন্ধু। মহাকাশ সম্পর্কে গভীর আকর্ষণ।

সুশান্তের অনেকদিনের ইচ্ছা ছিল NASA যাওয়ার। স্পেস সেন্টারের ভিতরে দাঁড়িয়ে অর্জন করেন অভিজ্ঞতা। তাই 'চন্দা মামা দূর কে' ছবিতে সুযোগ পেয়েই তাঁর খুশি আর ধরে না। NASAয় যাওয়া, হাতে কলমে অ্যাস্ট্রোনটদের কাজকর্ম, ট্রেনিং পরিদর্শন, এই সব নিয়েই দিব্যি মেতে ছিলেন তিনি। সেই ছবির কাজ হঠাৎই বন্ধ হয়ে যাওয়ায়, মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন অভিনেতা, বলে শুনতে পাওয়া যায়।

মহাকাশচারীর ভূমিকায় অভিনয় করা হল না, কিন্তু সেই পোশাকে এক্কেবারে ড্যাশিং অভিনেতা। ঠিক করেছিলেন সমাজের পিছিয়ে থাকা মেধাবী গরিব বাচ্চাদের একবার NASA নিয়ে যাবেন।

সুশান্তের অস্বাভাবিক মৃত্যুর পরে তদন্তে রিয়া চক্রবর্তী জানান, সুশান্তের নাকি ক্লসট্রোফোবিয়া ছিল। তিনি উচ্চতায় ভয় পেতেন, তাই ফ্লাইটে ওঠার সময়ে একটি বিশেষ ওষুধ খেতেন। রিয়ার এই যুক্তি খণ্ডন করতেই  এই ছবিটি পোস্ট করেন অঙ্কিতা লোখান্ডে। ক্যাপশন লেখেন, 'এই হল ক্লসট্রোফোবিয়া!'

দিল্লিতে পড়তে পড়তে কিছুটা থিয়েটার, কিছুটা নাচ শেখা, এসবের পর সুশান্ত এসে হাজির হন মুম্বইয়ে। টেলিভিশনে বড় ব্রেক। প্রযোজক একতা কাপুর তাঁকে সুযোগ দিলেন সিরিয়াল 'পবিত্র রিস্তা'য়। সেখানেই অঙ্কিতা লোখান্ডের সঙ্গে আলাপ। সিরিয়াল জনপ্রিয়তার শিখর ছুঁতে পেরেছিল, তার পিছনে অফস্ক্রিন কেমিস্ট্রি বা সুশান্ত-অঙ্কিতার প্রেমও কিছু কম ছিল না।

সব গল্পের শেষই রূপকথার মত হয় না। একসঙ্গে বাড়ি কিনলেন, দুজনের নামে একটাই নেমপ্লেট। সুশান্ত মারা যাওয়ার পরেও তা সরান নি অঙ্কিতা। সম্পর্ক শেষ হওয়া এত সহজ নয় বোধহয়। তাই বাইরে থেকে সম্পর্ক শেষ করে সুশান্ত-অঙ্কিতা জীবনের পথে আলাদা রাস্তায় হাঁটলেও কোথাও একটা অন্তরের টান থেকেই গিয়েছিল। এই ফ্ল্যাট নিয়েও প্রশ্ন তোলেন রিয়া চক্রবর্তী। অঙ্কিতা ব্যাঙ্ক স্টেটমেন্ট দিয়ে প্রমাণ করে দেন, তাঁর ফ্ল্যাটের EMI তিনিই দেন নিয়মিত।

'রাবতা'। এই ছবি সুশান্তের জীবনে এক নয়া মোড় নিয়ে আসে। ছবির নায়ক-নায়িকা সুশান্ত সিং রাজপুত ও কৃতি শ্যানন। সেটেই আলাপ। একসঙ্গে ওয়ার্কশপ। দুজনের পছন্দটাও যেন অনেকটা একরকম। দুজনের বলিউডে বহিরাগত। দুজনেই ইঞ্জিনিয়ারিং পড়েছেন। বন্ধুত্ব হতে বেশি সময় লাগল না। ছবি রিলিজের আগেই গুঞ্জন দুজনে ডেট করছেন। ছবির কেমিস্ট্রি জিইয়ে রাখার জন্য অনেকেই সেটাকে পাবলিসিটি স্টান্ট বলেছিলেন। কিন্তু সুশান্তের মৃত্যুর পর মুম্বইয়ে পালে ভির্লের শ্মশানে সুশান্তের বাবার পাশে যাঁকে বসে থাকতে দেখা গেল, তিনি কৃতি শ্যানন।  সুশান্তের বাবাকে বোঝালেন, তাঁর সন্তানের মূল্যই আলাদা। তিনি এক অসাধারণ মানুষের জন্ম দিয়েছেন।

সুশান্ত চলে যাওয়ার পর কৃতি শ্যানন তাঁর ইনস্টায় খেদ করে পোস্ট করেন, 'জীবনে এমন কিছু হল, যাতে তুমি নিজেকে শেষ করে দেওয়ার কথা ভাবলে, কিন্তু একটা সুযোগও দিলে না, যাতে সেই ক্ষতটা আমি সারিয়ে দিতে পারি। বন্ধুদের এতটা দূরে সরিয়ে দিলে সুশান্ত!' অন্যদিকে তদন্তে বেরিয়ে আসা সুশান্তের ডায়েরির 'টুৃ ডু' লিস্টে বেরোয়, 'কৃতিকে সময় দিতে হবে', সুশান্তের হাতের লেখায়।

সুশান্তের জীবনে রিয়ার এসে পড়াটা খানিকটা হঠাৎ করেই। একের পর এক সম্পর্ক যখন দানা বাঁধছে না, ঠিক তখনই প্রবাসী বাঙালি কন্যা রিয়া এসে দাঁড়ালেন সুশান্তের সামনে। সুশান্তের অস্বাভাবিক মৃত্যুর দিন সাতেক আগে তাঁর বাড়ি ছেড়ে চলে যান রিয়া। তদন্তকারীদের জানিয়েছিলেন, সুশান্তই তাঁকে চলে যেতে বলেন। তাঁদের মধ্যে সামান্য অশান্তি হয় বলেও জানান রিয়া।  রাতারাতি দেশে ভিলেনের চেহারা পান রিয়া। তাঁকে ঘিরেও শুরু হয় এক  বৃহত্তর আলোচনা, সবই সোশ্যাল মিডিয়ায়। একদিকে জাস্টিস ফর সুশান্ত হ্যাশট্যাগ নিয়ে সরগরম নেটপাড়া, অন্যদিকে রিয়া 'উইচহান্টের' শিকার বলে সমালোচনার ঝড় ওঠে। মাদকযোগে জেলেও যেতে হয় তাঁকে। ফেমিনিজমের পাঠ লেখা টি-শার্ট পরে সেদিন জেলে যান রিয়া।

সুশান্তের অস্বাভাবিক মৃত্যুর কিনারা হয় নি এখনও। এক বছরের মধ্যেই দেশের সবথেকে জনপ্রিয় নারীর খেতাব পেলেন রিয়া! বলিউডে নাকি তৈরি হবে  আধুনিক মহাভারত, যাঁর নায়িকার ভূমিকায় দেখা যাবে রিয়া চক্রবর্তীকে। শুধু তাই নয়, টেলিপাড়ায় জোর খবর, সলমন খানের 'বিগ বস' রিয়্যালিটি শোয়ে তিনিই সুপারস্টার প্রতিযোগী।

সারা আলি খানের প্রথম ছবি 'কেদারনাথ'। নায়ক সুশান্ত সিং রাজপুত। শোনা যায়, পরিচালক অভিষেক কাপুরের এই ছবিতে অভিনয় করতে গিয়েই নাকি সুশান্তের প্রেমে পড়েন সারা। আর সে সম্পর্ক এগোয় অনেকটাই। সারার জন্মদিন পালন করতে ব্যাংকক যান অভিনেতা, প্রাইভেট প্লেন ভাড়া করে। যাতে মিডিয়ার চোখে কোনওভাবেই ধরা না পড়েন তাঁরা।  'জীবনের প্রথম নায়ককে ডেট করো না', সারাকে সাবধান করেন তাঁর পরিবার। তারপর ধীরে ধীরে সরে যান সারা। কিন্তু গোটা গল্পটা কি এতটাই সহজ, নাকি তার পরতে পরতে আছে অন্য কোনও ঘটনা। NCB-র জিজ্ঞাসাবাদে  কী তথ্য দিলেন সারা? 

'কেদারনাথ' ছবির সেটে কি মাদক নিতেন সুশান্ত-সারা? কয়েকদিন আগেই ছবির অন্যতম অভিনেতা নীতিশ ভরদ্বাজ বলেন, তাঁর চোখে এমন কিছুই পড়েনি। দুই সাধারণ তরুণ-তরুণীর মতই ভরপুর এনার্জি নিয়ে সেটে আসতেন তাঁরা, কঠোর পরিশ্রম করতেন, জানিয়েছেন  বি আর চোপড়ার মেগা সিরিয়াল 'মহাভারতের' কৃষ্ণ। বলেছেন, 'মাদক নিলে সাধারণত চোখ ভারী থাকে। সারা বা সুশান্তের ক্ষেত্রে শুটিংয়ে আমি অন্তত তেমন কিছু দেখি নি'।

বিতর্ক তাঁর পিছন পিছন ছুটত, নাকি তাঁর চরিত্রকে খাটো করার জন্য বিতর্ক তৈরি করা হত, তাই নিয়ে একবছর ধরে অনেক আলোচনা হয়েছে। সুশান্তের শেষ ছবি 'দিল বেচারা'র নায়িকা সঞ্জনা সাংঘিকে নিয়েও বিতর্ক দানা বাঁধে। কোনও একপক্ষ থেকে চাউর করা হয় যে মুকেশ ছাবড়া পরিচালিত 'দিল বেচারা' ছবিতে শুটিং চলাকালীন সঞ্জনাকে অস্বস্তিতে ফেলেন সুশান্ত। এই নিয়ে শুরু হয় নেগেটিভ ক্যাম্পেন। সঞ্জনা অবশ্য পরে প্রকাশ্যে বলেন, এমন কোনও ঘটনাই ঘটেনি তাঁর সঙ্গে।

সুশান্তের মৃত্যুর বর্ষপূর্তিতে দাঁড়িয়ে এখনও তদন্তের কিনারা হয় নি। CBI তাঁদের তদন্তের রিপোর্ট জমা দিয়েছে। ED-র তদন্তও চলছে। তবে সবথেকে জোরদার তদন্ত চালাচ্ছে NCB। গোটা দেশ জুড়ে চলছে NCB-র ধরপাকড়, জিজ্ঞাসাবাদ চলছেই। কয়েকদিন আগেই সুশান্তের ফ্ল্যাটমেট সিদ্ধার্থ পিঠানিকে গ্রেফাতার করেছে  NCB। 

সুশান্ত এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, তাঁর কাছে সাফল্যের অর্থ  রোজগার এবং পরিচিতির যোগফল  নয়। মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলে সুশান্ত টাকাপয়সার টানাটানি দেখেছেন, জীবনে প্রচুর অর্থ রোজগারও করেছেন। শৈশব থেকেই সুশান্ত খুব অন্তর্মুখী ছিলেন। নিজেকে প্রকাশ করার জন্যই অভিনয়কে বেছে নেন, যাতে চরিত্রের আড়ালে তিনিও একটা নতুন জীবন খুঁজে পান। দর্শকদের ভালবাসায় পরিচিতিও পেয়েছেন। কিন্তু তাকেই সাফল্য বলতে নারাজ ছিলেন সুশান্ত। উত্তর-পূর্বের বন্যার্তদের পাশে থাকা, গরিব ছেলেমেয়েদের পড়াশোনায় সাহায্য, সাধারণ মেধাবীদের NASAয় পৌঁছে দেওয়া, সাফল্য বলতে বোধহয় এগুলোকেই  বুঝতেন সুশান্ত, নাকি আরও অন্য কিছু? উত্তরটা অধরাই রয়ে গেল...........

ZEENEWS TRENDING STORIES

By continuing to use the site, you agree to the use of cookies. You can find out more by Tapping this link