১৪ বছর বয়সে স্কুল ছেড়েছিলেন, Nikhil Kamath বর্তমানে ভারতের সর্বকনিষ্ঠ বিলিয়নিয়র
বয়স মাত্র ৩৪। আর এই বয়সেই ভারতের সর্বকনিষ্ঠ বিলিয়নিয়র হিসাবে পরিচিতি পেয়েছেন নিখিল কামাথ। মাত্র ১৪ বছর বয়সেই প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা ছেড়েছিলেন নিখিল। জীবনে ঠিক করবেন, তখন জানা ছিল না নিখিলের। শুধু জানতেন অর্থ উপার্জন করতে হবে।
১৪ বছর বয়সেই এক বন্ধুর সঙ্গে মিলে পুরানো ফোন কেনা বেচার ব্যবসা শুরু করেছিলেন নিখিল, তবে সেকথা নিখিলের মা জানতে পারলে, সেই ব্যবসাও বন্ধ হয়ে যায়। তবে নিখিলের কথায়, ততদিনে স্কুলের প্রতি তার বিরক্তি এসে গিয়েছিল। তিনি পরীক্ষা দেওয়া বন্ধ করে দিলে স্কুলের তরফে তাঁর বাবা-মাকে ডেকে পাঠানো হয়।
১৭ বছর বয়সে কল সেন্টারে চাকরি পেয়ে কাজ শুরু করেন নিখিল। তাও আবার জন্মের শংসাপত্র জালিয়াতি করে। বেতন ছিল ৮০০০ টাকা। বিকেল ৪ টে থেকে রাত ১টা পর্যন্ত শেখানেই কাজ করতেন। সেসময় বাড়ি থেকে বের হয়ে গিয়ে বান্ধবীর সঙ্গে থাকা শুরু করেন নিখিল।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে নিজের সাফল্যের যাত্রাপথের কথা সকলের সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছেন নিখিল। তাঁর কথায়, ''শৈশবেই আমি আনুষ্ঠানিক শিক্ষার আগ্রহ হারিয়ে ফেলি এবং দাবা খেলতে শুরু করেছিলাম।''
১৮ বছর বয়সে শেয়ারবাজারে অর্থ বিনিয়োগ করা শুরু করেন নিখিল। সেখান থেকেই অনেক কিছু শিখেছিলেন। নিখিল জানিয়েছেন,তাঁর বাবা তাঁকে বিশ্বাস করতেন। তিনিই কিছু টাকা দিয়ে সেগুলি শেয়ারে বিনিয়োগ করতে বলেন। পরে নিখিলের কল সেন্টারের ম্যানেজারও তাঁকে তাঁর অর্থ শেয়ারে বিনিয়োগ করতে দেন।
নিখিল জানিয়েছেন, তাঁর কল সেন্টারে চাকরির শেষ বছর তিনি ১ দিনও অফিস যাননি, কারণ ততদিনে শেয়ারবাজার থেকে অনেক বেশি অর্থ উপার্জন করা শুরু করেছিলেন। কল সেন্টারের পুরো টিমের টাকা তিনি শেয়ারে বিনিয়োগ করতেন।
২০১০ সালে নিখিল তাঁর বড় ভাইয়ের সঙ্গে মিলে নিজের কোম্পানি 'জিরোধা' খুলে ফেলেন। যেটি কিনা একটি ট্রেডিং কোম্পানি। ব্যাস, নিখিলকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি।
২০২০তে ফোর্বসের তালিকায় ১০০ জন ভারতীয় ধনী ব্যক্তিদের তালিকায় নাম রয়েছে নিখিলের।