বাজার থেকে আনাজ-দুধ এনে Sanitizing নিয়ে চিন্তায়? কয়েকটি সহজ ব্যাপার মাথায় রাখুন
দেশের করোনা সংক্রমণ প্রতিদিনই বাড়ছে। রাজ্যেও আগামীকাল থেকে নতুন করে কড়াকড়ি শুরু হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে বড়সড় ব্যাপার বাদ দিয়ে আমরা অনেক ছোট বিষয় নিয়েই ধন্দে পড়ি। কোনটা করব, কী ভাবে করব--এসব নিয়ে। কী ভাবে রোজকার আনাজ-দুধ-খবরের কাগজ, টাকাপয়সা জীবাণুমুক্ত করবেন, এটা নিয়েও অনেকে দুর্ভাবনায় ভোগেন। ভাবনার কিছু নেই। হাতের কাছে স্যানিটাইজার, সাবান, স্প্রেয়ার ইত্যাদি মজুত রাখুন।
আর যা-ই খান না খান, দুধ তো আমাদের রোজ প্রয়োজন। দুধের প্যাকেট কিনতেই হবে। তবে সাবধানও হতে হবে। এক্ষেত্রে বরং একটা সুবিধা আছে। দুধের প্যাকেট সাবানজলে ডুবিয়ে রাখুন। মাখন বা চিজের প্যাকেটেও সাবানজলে ভালো করে ধোয়ার পরেই ঘরে তোলা উচিত।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনাভাইরাস কাগজের উপর বেশিক্ষণ থাকতে পারে না। তাই হকার বাড়ির দরজাগোড়ায় খবরের কাগজ দিয়ে গেলে এক-দেড় ঘণ্টা ফেলে রাখুন। বাজার থেকে ফিরে কয়েন সাবানজলে বা তরল স্যানিটাইজারে ধুয়ে নিতে পারেন তবে টাকা এমনিই কয়েক ঘণ্টা খোলা জায়গায় ফেলে রাখুন। একই ব্য়াপার বইপত্রের বিষয়েও।
বাজার থেকে শাক-সবজি, ফলমূল কিনে আগে প্যাকেটসমেতই ফেলে রাখুন অনেকক্ষণ। পরে গরম জল ও বেকিং সোডা দিয়ে এসব ধুয়ে নিন। সবজি বা ফলে স্যানিটাইজার ব্যবহার করা যায় না। তবে আজকাল ওষুধের দোকানে আনাজপত্র জীবাণুমুক্ত করার এক ধরনের স্যানিটাইজার পাওয়া যায়। খোঁজ করতে পারেন।
বাড়ির দরজাগোড়ায় চলে এসেছে ক্যুরিয়ার। তখনও ভাবনা। না, ভাবার কিছু নেই। পার্সেল, ডকুমেন্ট বা চিঠিপত্র স্রেফ রোদে ঘণ্টাখানেক রেখে দিন। প্লাস্টিকের ও মেটালের জিনিস হলে অবশ্য জীবাণুমুক্ত করতে হবে। বাক্সবন্দি খাবার এলে স্যানিটাইজার দিয়ে সাধানে হার্ডবোর্ডের প্যাকেজিং জীবাণুমুক্ত করতে হবে। সতর্কতা জরুরি ওষুধের ক্ষেত্রেও। মেডিসিন স্ট্রিপে স্যানিটাইজার ব্যবহার করায় কোনও বাধা নেই।
সহসাই খুবই দরকার হয়ে পড়েছে জামাকাপড় কেনার? ভাবছেন, কী করে ম্যানেজ করবেন? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কিনে ফেলুন তবে ব্যবহারের আগে নতুন জামাকাপড়, জুতো ইত্যাদি খোলা জায়গায় ৪৮ ঘণ্টা রেখে দিলেই হবে।