Blood Pressure: উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য বাড়িতে বসেই কী কী করবেন?
নিজস্ব প্রতিবেদন- আপনার রক্তচাপ বেশি থাকে? ওযুধ খাচ্ছেন? চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে রোজকার জীবনে বেশ কিছু জিনিস মেনে চললে নিয়ন্ত্রণে থাকবে রক্তচাপ। তার জন্য প্রথমেই যেটা মানতে হবে, তা হল প্রতিদিন একই সময়ে ব্লাডপ্রেশারের পরিমাপ নিন। তার একটা চার্ট বানানো অভ্যেস করতে হবে।
করোনা পরবর্তীতে ইমিউনিটি বুস্টার খাবারদাবার নিয়ে প্রচুর আলোচনা হয়েছে বটে, কিন্তু একই সঙ্গে হোম ডেলিভারিতে খাবার আনানোর প্রবণতাও বেড়েছে। তাই পিৎজা, পাস্তা, কোল্ড ড্রিঙ্কসের প্রতি নির্ভরতা বেড়েছে ওয়ার্ক ফ্রম হোমের সঙ্গে সঙ্গেই। দুনিয়া জোড়া চিকিৎসকেরা বলছেন, জাঙ্ক ফুডের হাত থেকে অব্য়াহতি পেতেই হবে, যদি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে হয়।
চিকিৎসকদরে মতে, দৈনিক ৫ গ্রামের বেশি নুন শরীরে যাওয়া উচিৎ নয়। আমাদের অনবধানেই দিনে অতিরিক্ত নুন চলে যায় শরীরে। চিপস, চানাচুর, কুরকুরে, বিস্কুট, আমরা যাই খাই না কেন, উচ্চরক্তচাপ যুক্ত ব্য়ক্তির কাছে চরম স্বাস্থ্যহানিকর। তাই সেদিকে নজর রাখতেই হবে।
রিফাইন্ড কার্বোহাইড্রেট এড়িয়ে চলা দরকার। ময়দা, চিনি, সাদা ভাত, কেক, প্যাটি, বার্গার, সাদা পাঁউরুটির মতো খাবার খাওয়ার অভ্যাস ছাড়তে হবে। আটার রুটি না খেয়ে জোয়ার, বাজরার রুটি খেতে পারেন। মোটের উপর ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। ওজন যত নিয়ন্ত্রণে রাখা যাবে, রক্তচাপও তত কম থাকবে।
অতিরিক্ত মদ্য়পান উচ্চ রক্তচাপের জন্য় ঘোর ক্ষতিকর। তাই মদ্য়পান করুন মেপে, চিকিৎসকের পরামর্শ মত।
মেপে মদ্য়পান করলেও, ধূমপান একদমই নয়। উচ্চরক্তচাপের ব্য়ক্তিদের পক্ষে ধূমপান ঘোরতর ক্ষতিকর। কারণ, সাম্প্রতিক স্টাডি বলছে, নিকোটিন রক্তনালীর মারাত্মক ক্ষতি করতে পারে।
যাঁদের উচ্চ রক্তচাপ রয়েছে, তাঁদের জন্য পটাশিয়াম অত্যন্ত জরুরি পুষ্টি। তাই তাঁদের শরীরে পটাশিয়াম বেশি যেতে হবে । তাই পটাশিয়াম যুক্ত ডায়েট তৈরি করুন। কলা, অ্যাভোক্যাডো, টমেটো, বাদাম, দইয়ের মতো খাবার রোজকার খাদ্যতালিকায় অবশ্য়ই রাখতে হবে।
বাড়িতেই নির্দিষ্ট কিছু ব্য়ায়াম করা জরুরি। কিছু সাধারণ কার্ডিও এক্সারসাইজ রাখতে হবে রোজকার দিনলিপিতে। রোজ ৩০ থেকে ৪০ মিনিট শরীরচর্চা জরুরি। উচ্চরক্তচপের রোগীরা স্পট জগিং বা ব্রিস্কিং রোজ করুন।
যদি স্বাস্থ্যকর জীবন বেছে নেন, তা হলে ধীরে ধীরে নিজে থেকেই রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম, জল খাওয়া এবং মানসিক চাপ কম করলে শরীরের অনেক সমস্যা কমে যেতে পারে। সঙ্গে অবশ্যই মেনে চলতে হবে হেলদি ডায়েট।