শনিবার কী করলে এড়াবেন শনির প্রকোপ? কীভাবে বাঁচাবেন বজরংবলি?
শনিবার শনি ও বজরংবলির দিন বলে গণ্য করা হয়। এই দিনের বিশেষ মাহাত্ম্য রয়েছে। এই দিনে হনুমানের পুজো করলে শনির প্রকোপ থেকে মুক্তি পাবেন।
শনিবার বহু মানুষ হনুমানের পুজো করেন। কালো গরুর পুজো করে লাড্ডু খাওয়ালে শনির দোষ থেকে মুক্তি পাবেন। আসবে সাফল্য।
শনিদেবকে ন্যায়াধীশ বলা হয়। ন্যায়ের দেবতা শনি ধার্মিক ও অধার্মিক কাজ মিলিয়ে দেখে বিচার করেন। এজন্য অধার্মিক বা অন্যের ক্ষতি হতে পারে এমন কাজ করবেন না।
যাঁরা অধর্মের কাজ করেন, তাঁদের শনির ক্রোধের মুখে পড়তে হয়। গরিবদের উপরে কখনও অত্যাচার করবেন না। মানুষকে সম্মান করুন। তাহলে শনিদেবের কৃপা থেকে বঞ্চিত হবেন না।
সূর্যাস্তের পর লোকচক্ষুর আড়ালে থাকা অশ্বত্থ গাছের নীচে প্রদীপ জ্বালান। মন্দিরের পাশে অশ্বত্থ গাছেও প্রদীপ জ্বালাতে পারেন। টাকাপয়সা সংক্রান্ত বাধা দূর হবে।
নীল ফুল ও তেল দিয়ে শনিদেবের পুজো করুন।
শনিবার ভোরে স্নান সেরে তেল দান করুন। প্রথমে একটি পাত্রে তেল নিয়ে নিজের মুখের ছায়া দেখুন, তারপর সেই তেল দান করে দিন।
হনুমানকে সিঁদুর লাগান। পাঠ করুন হনুমান চালিসা।
শনিবার দানের মাহাত্ম্য রয়েছে। গরিবদের জরুরি জিনিস বা খাবার খাওয়াতে পারেন। এতে শনিদেবের কৃপা পেতে পারেন।
প্রতি শনিবার ব্রত রাখতে পারেন। সূর্যাস্তের সময়ে হনুমানের পুজো করুন। তিলের তেল, সিঁদুর ও নীল ফুল দিয়ে আরাধনা করতে হবে। শনির অশুভ দৃষ্টি থেকে ভক্তদের বাঁচান বজরংবলি।
শনিবার কালো গরুর পুজো করুন। তাঁকে চাল ও লাড্ডু খাওয়ান। মাথায় দিন কুমকুমের তিলক। পুজোর পরে ওই গরুটির চারপাশে প্রদক্ষিণ করুন। এই উপায়ে কেরিয়ারে সাফল্য পাবেন।