স্মার্টফোনের চার্জিংয়ে এই ১০টি নিয়ম মানতেই হবে
ব্যাটারি একটা নির্দিষ্ট আয়ু থাকে। স্মার্টফোনের ব্যাটারিও আলাদা নয়। তবে একটু যত্ন নিলেই ব্যাটারির আয়ু বাড়ে। চার্জার ব্যবহারের অভ্যাসের উপরে অনেকখানি নির্ভর করে ব্যাটারির আয়ু। যেমন- সারা রাত ধরে মোবাইল চার্জ দিলে ক্ষতিগ্রস্ত হয় ব্যাটারি। এখানে তেমনই পরামর্শ রইল।
সবসময় নিজের ফোনের চার্জার দিয়েই চার্জ করুন। বর্তমানে সার্বজনীন চার্জার মাইক্রো ইউএসবি পোর্ট রয়েছে। ফলে অনেকেই অন্যের চার্জার দিয়ে মোবাইল চার্জ করেন। এই অভ্যাস ছেড়ে দিন। ভোল্টেজ ও অ্যাম্ফিয়ারের সমন্বয় না হলে ক্ষতিগ্রস্ত হয় ফোনের ব্যাটারি।
ফোন চার্জে দেওয়ার আগে কভার খুলে দিন।চার্জের সময় গরম হয় ব্যাটারি। বাধা হিসেবে কাজ করে কভার। এতে ব্যাটারি আরও উষ্ণ হতে পারে।
কম দামি চার্জার ব্যবহার করবেন না। এতে চিরকালের মত ফোন বা ব্যাটারি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
দ্রুত চার্জ হয় এমন চার্জার ব্যবহার করা উচিত নয়। এই প্রক্রিয়ায় আপনার ফোন হাই-ভোল্টেজে চার্জ দেওয়া হয়। ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হয় ব্যাটারি। সুতরাং সাধারণ চার্জারে চার্জ দেওয়াই শ্রেয়।
সারা রাত ধরে ফোনে চার্জ দেবেন না। অতিরিক্ত চার্জ ফোনের ব্যাটারির আয়ু কমিয়ে দেয়।
ব্যাটারি অ্যাপস ব্যবহার এড়িয়ে চলুন। কারণ, এই ধরনের অ্যাপসগুলি সর্বক্ষণ সচল থাকে। বেশিরভাগই সবসময় বিজ্ঞাপন দেখায়। ব্রাউজারে অ্যাপ ইনস্টলের বিজ্ঞাপনে ক্লিক করবেন না। এতে ব্যাটারির চার্জ কমে যায়।
ফোনে অন্তত ৮০ শতাংশ পর্যন্ত চার্জ দিন।
সর্বক্ষণ চার্জারে রাখবেন না ফোন।
পাওয়ার ব্যাঙ্ক ব্যবহার করতে পারেন। আপনার ব্যাটারির স্বাস্থ্যের পক্ষে তা ভাল। ওভার চার্জিং ও গরম থেকে বাঁচায়। এতে ব্যাটারি অনেক দিন ধরে চলে।
ফোন চার্জে দিয়ে ব্যবহার করবেন না। এতে ফোনের উষ্ণতা আরও বাড়তে পারে। দুর্ঘটনার সম্ভাবনাও থাকে।