Durgapur: বউকে ফেরত চাই! শ্বশুরবাড়ির সামনে ধর্নায় স্বামী
নিজস্ব প্রতিবেদন: পরিবারে কোনও অশান্তি নেই, মারধরও করেননি! তাহলে কেন স্ত্রী-সন্তানকে ছেড়ে থাকতে হবে? শ্বশুরবাড়ির সামনে রীতিমতো প্ল্যাকার্ড হতে ধর্নায় বসে পড়লেন স্বামী। খবর চাউর হতেই ঘটনাস্থলে পৌঁছল পুলিস। সমস্যা মেটাতে স্বামী-স্ত্রীকে নিয়ে যাওয়া হল থানায়।
দুর্গাপুর শহরের ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের গান্ধীনগর কলোনির বাসিন্দা দেবদুলাল দাস। ২০১২ সালে বিয়ে করেন তিনি।
স্ত্রী অপর্ণা দুর্গাপুরেরই মেয়ে। তাঁর বাপের বাড়ি মায়াবাজার এলাকায়।
বিয়ের বছর দুয়েক পর পুত্রসন্তান হয় ওই দম্পতির। অপর্ণার অভিযোগ, সন্তানের জন্মের পর পরিবারে অশান্তি শুরু হয়। স্বামী নাকি মারধর করতেন! বহু চেষ্টা করেও সমস্যার সুরাহা মেটেনি।
শেষপর্যন্ত বাধ্য হয়েই স্বামীকে ছেড়ে বাপের বাড়িতে চলে যান অপর্ণা। সঙ্গে নিয়ে যান ছেলেকেও।
পারিবারিক অশান্তি ও মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন দেবদুলাল। উল্টে স্ত্রী ও সন্তানকে ফেরতে পেয়ে এদিন দুর্গাপুরের মায়াবাজার এলাকায় শ্বশুরবাড়ির ধর্নায় বসেন তিনি। স্ত্রী ও সন্তানের ছবি-সহ প্ল্যাকার্ডও লাগান দেবদুলাল। তাতে লেখা, 'অপর্ণা ফিরে চলো শ্বশুরবাড়িতে'!
খবর চাউর হতে শোরগোল পড়ে যায় এলাকায়। ঘটনাস্থলে আসে পুলিস। কিন্তু বুঝিয়েও কোনও লাভ হয়নি। শেষপর্যন্ত দাম্পত্য কলহ মেটাতে স্বামী ও স্ত্রীকে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।