Siliguri Bengal Safari: বরফে কামড় বসাচ্ছে বাঘ; মাথায় তা ঘসছে ভাল্লুক, গরমে হাঁসফাঁস পরিস্থিতি বেঙ্গল সাফারির অন্যান্যদেরও
গরমে নাজেহাল শিলিগুড়ির বেঙ্গল সাফারি পার্কে বাঘ, ভাল্লুকরা। তীব্র দাবদাহ থেকে খানিকটা রেহাই পেতে সাফারি পার্ক কর্তৃপক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে একাধিক ব্যবস্থা। -তথ্য ও ছবি-নারায়ণ সিংহ রায়
ভাল্লুকের খাচায় পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে বরফ ৷ সে তা নিয়েই ব্যাস্ত থাকছে সারাদিন। মানুষের মত সে-ও গরমে বেশি চলাফেরা পছন্দ করছে না। দিনের বেশিরভাগ সময় বরফ নিয়েই কাটিয়ে দিচ্ছে সে। কখনও তাতে কামড় বসাচ্ছে আবার কখনও তার উপর শুয়েই দিন কাটছে। কখনওবা তা মাথায় ঘসছে। -তথ্য ও ছবি-নারায়ণ সিংহ রায়
অন্যদিকে বাঘেদের পরিবারেও একই চিত্র। ছোট পুকুরের মত করে দেওয়া রয়েছে এনক্লোজারে। সেখানেই তারা দিনের বেশিরভাগ সময় কাটাচ্ছে। পাশাপাশি বরফের চাই দেওয়া হচ্ছে সাফারি পার্কের থেকে। কাজেই সেখানেই শিলা ও তার সন্তানেরা শুয়ে-বসে কাটাচ্ছে। অতিরিক্ত গরমে তারাও নাজেহাল। -তথ্য ও ছবি-নারায়ণ সিংহ রায়
তবে তীব্র দাবদাহ দিব্বি কাটাচ্ছে উর্মিলা, লক্ষী। বেঙ্গল সাফারি পার্কের এই ২ হাতি প্রায় সারাদিনই কাটছে সাফারি পার্কের ভেতরের নদীতে। নদী থেকে তাদের নিয়ে অন্যত্র নিয়ে যাওয়াই সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। সেখানেই ডুব দিয়ে থাকতে স্বাচ্ছন্দ বোধ করছে তারা। -তথ্য ও ছবি-নারায়ণ সিংহ রায়
বেঙ্গল সাফারি ডিরেক্টর কমল সরকার জানান, "এই গরমে তাদের ভালো রাখতে নানারকম ব্যাবস্থাই গ্রহন করা হয়েছে। দফায় দফায় বাঘ বা ভাল্লুক বা চিতাবাঘের এনক্লোজারের জল পাল্টে দেওয়া হচ্ছে। বরফের বড় বড় চাই দেওয়া হচ্ছে। আমাদের উদ্দেশ্য তাদের এই গরমে সুস্থ রাখা। প্রয়োজন অনুসারে আমরা তাদের খাওয়ার সময় ঘন্টা খানেক পিছিয়ে দিয়ে তাদের জলে রেখে হাইড্রেট করছিল। অন্যদিকে তৃণভোজীদের ক্ষেত্রে তারা যে জলটা পান করছে তাতে ও আর এস মিশিয়ে দেওয়া। যাতে তাদের শরীরেও জলের অভাব না দেখা যায়।" -তথ্য ও ছবি-নারায়ণ সিংহ রায়