`ক্ষমতায় এলে সব রাজনৈতিক কর্মীদের মামলা প্রত্যাহার করব` চা চক্রে বেরিয়ে মন্তব্য দিলীপের
করোনা মুক্তির পর দিলীপ ঘোষের প্রথম চা চক্র। আর সেই চা চক্রকে স্পেশাল করে দিলেন বিজেপির নেতা কর্মীরা। ব্যান্ড পার্টি বাজিয়ে ঘোড়ার গাড়ি চেপে বিজেপির রাজ্য সভাপতিকে চা চক্রে নিয়ে গেলেন তাঁরা। জর্দা বাগান থেকে সুসজ্জিত একটি মিছিল করে জ্যাংড়া তে চা চক্রে যোগ দিলেন দিলীপ ঘোষ। খোশ মেজাজে বিজেপির রাজ্য সভাপতিও। রীতিমতো পাগরি পরে তিনি হাজির হলেন চা চক্রে।
ক্ষমতায় এলে সব দলের কর্মীদের বিরুদ্ধে হওয়া রাজনৈতিক মামলা প্রত্যাহার করে নেওয়া হবে। প্রকাশ্য সভায় ঘোষণা করলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, "নিজের দলের কর্মীদের নিজেরাই হত্যা করে সিপিএম যেমন ভাবাবেগের রাজনীতি করত, ঠিক তেমনি তৃণমূল নিজের দলে কর্মীদের নামেও মামলা করে রেখেছে, যাতে ভয়ে কেউ দল ছাড়তে না"
সুব্রত চট্টোপাধ্যায়কে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়ার প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন "সংগঠন করতে এসেছি আমরা। সংগঠন যেটা ঠিক করে, যাকে যা দায়িত্ব দেয়, সেই দায়িত্ব আমরা পালন করি। সুব্রত দা বিজেপিতে ৫-৬ বছর কাজ করেছেন, তারপর ওনাকে হয়ত অন্য দায়িত্ব দেওয়া হবে। এই পরিবর্তন সংগঠনে চলতেই থাকে এ ভাবেই আমরা কাজ করি।"
বাগনান প্রসঙ্গে দিলীপের বক্তব্য, বাগনানে যে কর্মীকে আমাদের গুলি করা হয়েছিল সে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করতে করতে গতকাল মারা যায়। সে রকম সিতাই ও মেদিনীপুরে ও উত্তর ২৪ পরগনার একজন মারা গিয়েছে। পুজোর মধ্যেও এই খুন-খারাপি চলেছে। আমার মনে হয় এ গুলো ইচ্ছা করে করছে। না হলে প্রশাসনের ওপর কোনও নিয়ন্ত্রণ নেই সরকারের। আজ যাঁরা সমাজ বিরোধী তাঁরা দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। সাধারণ মানুষকে খুন করেছে।"
তিনি আরও বলেন ক্ষমতায় এলে সব দলের নেতাদের মামলা তুলে নেওয়া হবে। পশ্চিমবঙ্গে প্রতিহিংসা পরায়ণ হয়ে যে ধরণের রাজনৈতিক মামলা হয়। আজ লক্ষ লক্ষ মামলা জমে রয়েছে। বেশিরভাগই মিথ্যে। যাঁরা এখানে রাজনীতি করছেন তাঁরা ভয়ের মধ্যে আছে।
দিলীপের দাবি, "এমনকি টিএমসি পার্টিতে বহু নেতা আছেন যাঁদের মিথ্যে মামলা দিয়ে আটকে রাখা হয়েছে, যাতে পার্টি না ছেড়ে যায় এবং কথা শুনতে বাধ্য হয়।" তিনি আরও বলেন আমি তাই বলেছি এই ধরণের যত প্রতিহিংসা পরায়ণ রাজনৈতিক মিথ্যে মামলা যা আছে, তা যে দলেরই হোক, তাকে আমরা মুক্তি দেব।"