যুগান্তকারী সাফল্য! এবার বাংলার পুকুরে বারো মাসই ইলিশ
বছরভর ইলিশের জন্য হাপিত্যেশ? কিন্তু, বর্ষা ছাড়া মাছ জোটে না পাতে, তাই মন খারাপ? তাহলে আপনার জন্য সুখবর, আর চিন্তা নেই। এবার পুকুরেই চাষ হবে রুপোলি শষ্যের। ফে এবার সারা বছর, কম দামে মিলবে ইলিশ মাছ। হুগলির মগরার এক ফার্মে এসেছে এই সুস্বাদু সাফল্য।
পদ্মা বা রূপনারায়ণের ইলিশ হলেন মত্স্যকুলের মুকুটহীন সম্রাজ্ঞী। তাঁর উজ্জ্বল বর্ণ এবং আভিজাত্যের স্বাদ-গন্ধই আলাদা। তবে জন্মস্থান যেখানেই হোক, ইলিশের যে কোনও পদই রসনায় সেরা।
পাগল করা পাতুরি কিংবা ঝাঁঝে ভরা সর্ষে ইলিশ অথবা ত্রিকোণ ইলিশের ভাপা, খায় না এমন বাঙালি নেহাতই দুর্লভ। কিন্তু, ঋতু পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গেই জলের সেই রুপোলি সুন্দরী হঠাত্ যে কোথায় হারিয়ে যায়!
তবে ইলিশ অন্তর্ধানের সেই চিরায়ত গল্পে এবার পাকাপাকি দাঁড়ি পড়তে চলেছে।
আপনার পাড়ার পুকুরেই ছিপে গাঁথতে পারবেন জলের মুকুটহীন সম্রাজ্ঞীকে।
হুগলির মগরার একটি ফার্মে গবেষণায় মিলেছে সাফল্য। এই সাফল্যের কৃতিত্ব ৬টি সরকারি ফিশারিজ-এর।
এই ফার্মের জলে খেলে বেরানো রুপোলি শস্যের ওজন এখন ১৫০ থেকে ২০০ গ্রাম। প্রায় সাড়ে ৪ হাজার মাছ বড় হচ্ছে এখানে।
ভবিষ্যতে এখানেই তৈরি করা হবে ইলিশের চারা। এখান থেকেই সারা বাংলার মত্সজীবীরা সেই চারা নিয়ে গিয়ে পুকুরে চাষ করতে পারবেন।
তবে পুকুরের জলে ডিম ফোটানোর জন্য আরও গবেষণা প্রয়োজন। বর্তমানে পুকুরে কৃত্রিম প্রবাহ তৈরি করে ডিম ফোটানোর চেষ্টা চলছে।
তাহলে কি বুঝলেন, কম দামে, হাতের নাগালে বছরভর সুস্বাদু ইলিশ এখন শুধু বছরখানেকের অপেক্ষা...