পাঁচ ধাপে মোলায়েম ঘন চুল পাবেন ৭ দিনে, জানুন বিশদে
নিজস্ব প্রতিবেদন: শীতের শুষ্কতায় চুলের হাল একেবারে খারাপ। রোজ শ্যাম্পু না করলে মনের মতো হয়না চুল। অগত্যা খোপা করে রাখতে হয়। মনে রাখবেন রোজ শ্যাম্পু করা কখনই চুলের যত্ন নেওয়া নয়। মাত্র ৭ দিনে পাঁচ ধাপে চুলের যত্ন নিলে ঘুচবে এই সমস্যা। মেনে চললেই মোলায়েম ও মখমলি হয়ে উঠবে।
১) ঈষদুষ্ণ গরম তেল দিয়ে মাসাজ করুন মাথায়৷ মাত্র ৫-৭ মিনিট ধরে মাসাজ করুন। ভৃঙ্গরাজ ও আমলকীর গুণে সমৃদ্ধ নারকেল তেল যেমন চুলের জন্য খুব ভালো৷ এতে চুল পড়া কমে, অ্যান্টিঅক্সিডান্টের প্রভাবে ক্ষয়ক্ষতি তাড়াতাড়ি সেরে যায়৷ তা ছাড়া তেল মাখলে বাড়ে রক্ত চলাচল, আর্দ্রতার জোগান বৃদ্ধি পায়, শরীর-মন ভারমুক্ত হয়৷ এরপর হালকা করে চিরুনি ব্যবহার করে স্ক্যাল্পে জমা তেলকে ছড়িয়ে দিন।
২) আপনার তোয়ালেটি ভিজিয়ে নিন গরম জলে৷ তার পর চুলের চারপাশে সেটি জড়িয়ে নিন৷ এর ফলে একেবারে গোড়া ও ফলিকল পর্যন্ত তেল প্রবেশ করবে৷ কমবে ড্যামেজ ও রুক্ষতা৷ কিছুক্ষণ, বিশেষ করে তোয়ালেটা যতক্ষণ গরম আছে, ততক্ষণ এভাবেই মাথায় লাগিয়ে রাখুন৷
৩) এরপর চুলে মাস্ক লাগান। ঘরোয়া মাস্ক হলে খুবই ভালো। টেবিলচামচ প্রাকৃতিক মধু আর রুক্ষ চুলে জন্য পেঁপে, কলা বা অ্যাভোকাডো ও তৈলাক্ত চুলের জন্য স্ট্রবেরি, কিউয়ি আর অ্যালো ভেরার প্যাক খুব কাজে দেয়৷ এবার ২০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন।
৪)কোনও সালফেট ও প্যারাবেন মুক্ত শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে নিন এর পর৷ শ্যাম্পু কেনার আগে অতি অবশ্যই দেখে নিতে হবে এই দু’টি উপাদানের কোনওটি আছে কিনা আপনার শ্যাম্পুতে৷ সালফেট সাধারণত খুব কড়া কাপড়কাচা সাবানে থাকে এবং নিয়মিত ব্যবহার করলে চুলের স্বাভাবিক তেল হারানোর আশঙ্কা আছে৷
৫) একেবারে শেষে ব্যবহার করার জন্য তৈরি করুন স্প্রে কন্ডিশনার৷ যদি সরাসরি কন্ডিশনার লাগান, তা হলে চুল বেশি ভারী হয়ে পড়বে৷ তাই স্প্রে বোতলে এক কাপ জল, এক চাচামচ নারকেল তেল, আধ কাপ নারকেলের দুধ আর আধ কাপ অ্যালো ভেরা জেল দিয়ে ভালো করে ঝাঁকিয়ে নিন৷ তার পর সরাসরি চুলে স্প্রে করুন৷ এটি ব্যবহারের পর চুল ধোওয়ার প্রয়োজন নেই৷ ঘরের তাপমাত্রায় দু’ সপ্তাহ বেশ ভালো থাকবে, তবে প্রতিবার ব্যবহারের আগে একবার ভালো করে ঝাঁকিয়ে নিন৷