সুস্থ থাকতে প্রাকৃতিক উপায়ে শরীরে বাড়িয়ে ফেলুন হ্যাপি হরমোন
নিজস্ব প্রতিবেদন: হাসতে ভুলে গেছেন? টেনশন, চাপ আপনার হাসি শুষে নিয়েছে? মন খুলে হাসুন। যত পারেন হাসুন। প্রাণ খুলে হাসুন। যত হাসবেন, তত বাড়বে আয়ু। হার্ট থাকবে চাঙ্গা। এমনটাই দাবি বিশেষজ্ঞদের।
জন হপকিন্স ইউনিভার্সিটি মেডিক্যাল স্কুলের সাম্প্রতিক গবেষণা বলছে, হাসলে আয়ু বাড়ে। হার্ট ভাল থাকে। ওজন কমায়। শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। হজম ভাল হয়। ভাল থাকে ফুসফুস। শ্বাস-প্রশ্বাস স্বাভাবিক হয়। ব্যথা কমায়। নরওয়ের সাম্প্রতিক গবেষণা বলছে, যাঁদের সেন্স অফ হিউমার প্রখর, যাঁরা সবসময় আশাবাদী, তাঁরা বাকিদের থেকে ৫৫ শতাংশ বেশি বাঁচেন।দিনে ১৫ মিনিট হাসুন। ফলে, শরীরে হ্যাপি হরমোনের ক্ষরণ হয়। ডিপ্রেশন কমে। সম্পর্কের উন্নতি হয়। সম্পর্ক ভাল থাকে। মন খুলে হাসলে স্ট্রেস হরমোন কমে।
মনে রাখবেন সোরোটিন মস্তিষ্কে ভাল থাকার অনুভূতি প্রদান করে। একেই মূলত হ্যাপি হরমোন বলা হয়। সেরোটিন মানব আচরণের পরিবর্তনের জন্য দায়ি। এই হরমোন শুধু মস্তিষ্কই নয়, পুরো শরীরকেই নিয়ন্ত্রণে রাখে।
বাড়িতেই ওয়ার্ক আউট করুন।এরপর রৌদ্রস্নান করুন। সূর্যের আলো শরীরে সেরোটোনিন বাড়ায়। প্রতিদিন রোদে ৩০ মিনিট বসে থাকুন। স্ট্রেস ফ্রি হবে এই প্রক্রিয়ায়।
মনের মতো খাওয়া দাওয়া করুন। সুষম খাদ্য খান। বাদামি চাল, দুধের পনির, সাদা রুটি এবং আনারস আপানার শরীরে হ্যাপি হরমোনের ভাগ বাড়িয়ে দেবে।
মেডিটেশন করুন। ধ্যান করুন। কোনও শান্ত শব্দে একই ধাঁচের একটি মিউজিক (ইন্সট্রুমেন্টাল) চালিয়ে চোখ বুজে থাকুন ২০ মিনিট। সন্ধে নামার মুখে খোলা আকাশের নিচে বসে থাকুন চোখ বুজে।