শ্যামপুকুর বাটিতে ভবতারিণী রূপে পূজিত হন রামকৃষ্ণদেব
শক্তির আরাধনায় মেতেছে শহরবাসী।
প্রীতম দে
বাদ যায়নি উত্তর কলকাতার শ্যামপুকুর বাটিও। তবে এখানকার পুজোয় রীতিনীতি কিছুটা আলাদা।
প্রীতম দে
ঘুরে দেখা যাক ইতিহাসটা। আজ থেকে এক শতাব্দীরও বেশি আগে এমনই একটি কালীপুজোর দিন।
প্রীতম দে
সালটা ১৮৮৫, অসুস্থ রামকৃষ্ণ কলকাতার বাগবাজার বলরাম বসুর বাড়িতে পৌঁছন। সেই বছর ২ অক্টোবরে বলরাম বসুর বাড়ি থেকে রামকৃষ্ণ ওঠেন শ্যামপুকুর বাটিতে।
প্রীতম দে
পুরনো কলকাতার দোতলা এই বাড়ির একটি ঘরে আয়োজন হয় কালীপুজোর। উপস্থিত ছিলেন শ্রী রামকৃষ্ণ দেব এবং গিরিশ ঘোষের মত ব্যক্তিত্বরাও।
প্রীতম দে
ফল, মিষ্টি পুজোর সব আয়োজন সম্পন্ন হল। তবে সেবার বিগ্রহ নয়। কালী রূপে পুজো করা হল রামকৃষ্ণ দেবকেই।
প্রীতম দে
তখন থেকেই চলে আসছে এই নিয়ম, কালীপুজো হলেও কোনও বিগ্রহ কে নয়, ধ্যানমগ্ন রামকৃষ্ণকেই পুজো করেন ভক্তরা।
প্রীতম দে
বর্তমানে ঐতিহাসিক এই বাড়ির দায়িত্ব নিয়েছে রামকৃষ্ণ মিশন।
প্রীতম দে
আজও কালী পুজোর দিনে শ্যামপুকুর বাটিতে ঠিক একই রকমভাবে পুজো করা হয় এই দিনে। ভিড় করেন অসংখ্য অনুরাগীরা।
প্রীতম দে
নিষ্ঠা ভরে কালী পুজো হয় প্রতিবারই। তবে, প্রতিমার বদলে এখানে পুজো করা হয় শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণদেবকে।
প্রীতম দে