মিশন শক্তি: রাজনৈতিক সদিচ্ছা না থাকায় ২০০৭ সালে পারিনি, DRDO-র পর মুখ খুললেন ইসরো প্রধান
'মিশন শক্তি'র রূপায়ন অনেক আগেই করে নিতে সক্ষম ছিল ভারত। কিন্তু, রাজনৈতিক গড়মসিতেই থমকে গিয়েছিল কর্মসূচি। এমনটাই জানালেন ইসরোর প্রাক্তন চেয়ারম্যান জি মাধবন নায়ার। ডিআরডিও-র প্রাক্তন প্রধানের ইসরোর প্রাক্তন প্রধানের মুখেও এক রা।
সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে জি মাধবন নায়ার বলেন,''২০০৭ সালে একটি পুরনো আবহাওয়া উপগ্রহকে ধ্বংস করে চিন। একই ধরনের প্রযুক্তি তখন ভারতের হাতে ছিল''।
নায়ার জানান, ইসরো ও ডিআরডিও-র প্রযুক্তি দিয়েই পরীক্ষা করা যেত। সরকারি অনুমতি পেলে ২ বছরেই প্রকল্পটি সম্পূর্ণ করতে পারতেন বিজ্ঞানীরা।
তাঁর কথায়, ''তখন রাজনৈতিক সদিচ্ছার অভাব ছিল''। প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসা করে নায়ার বলেন,''সাহসিকতার সঙ্গে এখন সিদ্ধান্ত নিতে পেরেছেন নরেন্দ্র মোদী। উনি বিশ্বকে আমাদের ক্ষমতা দেখাতে চেয়েছেন''।
২০১২ সালে মিশন শক্তির পরিকল্পনা পেশ করেছিল ডিআরডিও, কিন্তু অনুমোদন মেলেনি। ডিআরডিও-র প্রাক্তন প্রধান ভিকে সারস্বত বলেন,'' জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ও জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের কাছে প্রকল্প নিয়ে বিস্তারিত পরিকল্পনা ব্যক্ত করেছিলাম। আলোচনাও হয়েছিল। মন দিয়ে শুনেছিলেন তাঁরা''। ইউপিএ সরকার যে ডিআরডিও-র প্রকল্প নিয়ে আগ্রহ দেখায়নি তাও বুঝিয়ে দিয়েছেন সারস্বত। তাঁর কথায়,''দুর্ভাগ্যবশত সরকারের (ইউপিএ) কাছ থেকে ইতিবাচক সাড়া পাইনি। তাই অগ্রসর হইনি''।সারস্বত আরও বলেন,''সতীশ রেড্ডি ও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা প্রস্তাবটি প্রধানমন্ত্রী মোদীর কাছে পেশ করেন। প্রধানমন্ত্রীর সাহস দেখিয়েছেন। প্রকল্পটি এগিয়ে নিয়ে যেতে অনুমোদন দেন। ২০১২-১৩ সালে অনুমোদন দেওয়া হলে ১৪-১৫ সালেই কার্যকর করে দেওয়া সম্ভব হতো''।
বুধবার অ্যান্টি স্যাটেলাইট ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে একটি উপগ্রহকে ধ্বংস করে ভারত। বুধবার জাতির উদ্দেশ্যে ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মোদী জানান, লো আর্থ অরবিটে একটি অব্যবহৃত স্যাটেলাইট ধ্বংস করেছে ভারতে তৈরি অ্যান্টি স্যাটেলাইট A-SAT মিসাইল। এই অভিযানের মাধ্যমে ভারত মহাকাশের লড়াইয়েও মহাশক্তিধর হয়ে গেল। কারণ, এর আগে এই ধরনের ক্ষেপণাস্ত্রের ব্যবহার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, চিন ও রাশিয়ার কাছেই এই ক্ষমতা ছিল।