Indira Gandhi Death Anniversary: ভারতীয় রাজনীতির প্রিয়দর্শিনী গান্ধীকে চেনেন ? আজ তাঁর মৃত্যুদিন...
১৯৬৬ সালের জানুয়ারি থেকে ১৯৭৭ সালের মার্চ এবং ১৯৮০ সালের জানুয়ারি থেকে ১৯৮৪ সালের অক্টোবরে নিহত হওয়ার দিন পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী পদে আসীন ছিলেন ইন্দিরা গান্ধী। বাবা জওহরলাল নেহেরুর পরে তিনিই ভারতে দ্বিতীয় দীর্ঘতম মেয়াদের প্রধানমন্ত্রী।
সত্তরের দশকের অন্তিমে দেশ জুড়ে বিভিন্ন ইস্যুতে বিচ্ছিন্নতাবাদী কার্যকলাপ চলা ও তার জেরে বিপ্লবের অপচেষ্টার কথা বারবার উল্লেখ করেন ইন্দিরা গান্ধী। আর তারই জেরে ১৯৭৫ থেকে ১৯৭৭ সাল পর্যন্ত জাতীয় জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেন তিনি। এই সময়ে মৌলিক নাগরিক স্বাধীনতা ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা খর্ব করা হয়েছিল। জরুরি অবস্থার সময় বহু স্থানে গণহত্যার ঘটনাও ঘটে। হঠাৎই ইন্দিরার জনপ্রিয়তা কমতে থাকে।
১৯৭১ সালের ডিসেম্বরে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধে ভারতের চূড়ান্ত জয় ছিল ইন্দিরা গান্ধীর সর্বাপেক্ষা উল্লেখযোগ্য কীর্তি। এই যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের শেষ দুই সপ্তাহে এবং এই যুদ্ধের পরই স্বাধীন বাংলাদেশ রাষ্ট্র গঠিত হয়। বলা হয়, সেই সময় বিরোধী দলনেতা অটল বিহারী বাজপেয়ী তাঁকে দেবী দুর্গার সঙ্গে তুলনা করেছিলেন।
১৯৮৩ সাল নাগাদ স্বর্ণমন্দির চত্বর জঙ্গিদের কাছে এক দুর্গে পরিণত হয়। জানা গিয়েছিল, মন্দির চত্বরে লাইট মেশিন গান ও সেমি-অটোমেটিক রাইফেলও নিয়ে আসা হয়েছিল। ১৯৮৩ সালের ২৩ এপ্রিল পঞ্জাব পুলিশের ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল এ. এস. অটওয়াল মন্দির চত্বর থেকে বের হওয়ার সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে প্রাণ হারান। পরদিন শিরোমণি অকালি দলের তদনীন্তন সভাপতি হরচন্দ সিং লঙ্গোওয়াল এই হত্যাকাণ্ডে ভিন্দ্রানওয়ালের জড়িয়ে থাকার কথা সুনিশ্চিত করেন। বেশ কয়েকবার আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা ব্যর্থ হলে ১৯৮৪ সালের জুন মাসে ইন্দিরা গান্ধী ভারতীয় সেনাবাহিনীকে স্বর্ণমন্দিরে ঢুকে সেখান থেকে ভিন্দ্রানওয়ালে ও তাঁর অনুগামীদের সরিয়ে দেওয়ার আদেশ দেন। এই অভিযানের নাম দেওয়া হয়েছিল অপারেশন ব্লু স্টার।
কিন্তু এই অপারেশন ব্লু স্টার ঘটানোর জন্য খেসারত দিতে হল ইন্দিরা গান্ধীকে। সে বছরই ৩১ অক্টোবর তাঁর নিজের দেহরক্ষীরাই তাঁকে গুলি করে হত্যা করে।
১৯৯৯ সালে বিবিসি ইন্দিরা গান্ধীকে 'উওম্যান অফ দ্য মিলেনিয়াম' আখ্যায় ভূষিত করে।