মমতায় মুগ্ধ বণিক মহল
রিলায়েন্স গোষ্ঠীর চেয়ারম্যান মুকেশ আম্বানির মতে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আমলে ওয়েস্ট বেঙ্গল, বেস্ট বেঙ্গল হয়ে উঠেছে। জিও ছাড়াও খুচরো এবং পেট্রোলিয়াম খাতে আগামী ৩ বছরে তাঁর সংস্থা ৫ হাজার কোটি টাকা লগ্নি করবে এই রাজ্যে। তিনি আরও জানান, এর আগে ২০১৬ সালের বাণিজ্য সম্মেলনে এসে তিনি বলেছিলেন, জিও-তে সাড়ে চার হাজার কোটির লগ্নি হবে। কিন্তু বাস্তবে ১৫ হাজার কোটিরও বেশি লগ্নি করা হয়েছে।
হীরানন্দানি গোষ্ঠীর চেয়ারম্যান নিরঞ্জন হীরানন্দানি বলেন, বিনিয়োগের জন্য প্রথমে বাংলাকে তাঁর পছন্দ ছিল না। তাঁর ছেলে পশ্চিমবঙ্গে বিনিয়োগ করতে চাইলেও, তিনি বেঁকে বসেছিলেন। কিন্তু তাঁর ধারনা এখন বদলে গেছে, তিনি এখন আরও লগ্নি করতে চান এই রাজ্যে। এদিন গ্যাস বন্টন ক্ষেত্রে ১ হাজার ২০০ কোটি টাকা লগ্নির প্রস্তাব দিয়েছেন তিনি। এর ফলে কলকাতা ও সংলগ্ন শহরাঞ্চলের বাড়িতে বাড়িতে পাইপ লাইনের মাধ্যমে গ্যাস পৌঁছে যাবে।
লক্ষ্মী মিত্তল বলেন, "শিল্পের পথে প্রধান দুটি বাধা আমলাতন্ত্রের ফাঁস ও দুর্নীতি রোধ। এই দুই ক্ষেত্রে দিদি যে ভূমিকা নিয়েছেন তা অভূতপূর্ব, আপনার হাতেই ভবিষ্যত"।
আর পি সঞ্জীব গোয়েঙ্কা গোষ্ঠীর চেয়ারম্যান সঞ্জীব গোয়েঙ্কার কথায়, "এ রাজ্য রাজনৈতিকভাবে স্থিতিশীল। মুখ্যমন্ত্রীর অসাধারণ নেতৃত্ব দেন ও দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। বাংলায় ব্যবসা ও ব্যবসায়ীদের অত্যন্ত মর্যাদা ও উষ্ণতার সঙ্গে দেখা হয়।" এরপরই তিনি জানান, দুর্গাপুরে কার্বন ব্ল্যাকের নতুন কারখানা গড়ে তোলা হবে। পাশাপাশি, সিইএসসি-র বিদ্যুত বন্টনের পরিকাঠামো উন্নয়নে ১ হাজার কোটি টাকাও বিনিয়োগ করা হবে।
ফিউচার গোষ্ঠীর চেয়ারম্যান কিশোর বিয়ানির কথায়, এই রাজ্য থেকেই তাঁদের ব্যবসা শুরু হয়েছে। আগামী বছরের মধ্যে এই রাজ্যে তাঁর সংস্থার বিপণির সংখ্যা ৪০ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
স্পাইসজেটের চেয়ারম্যান অজয় সিং এদিন রাজ্যে সি-প্লেন তৈরির সম্ভবনার কথা খতিয়ে দেখবেন বলে জানিয়েছেন। কলকাতা-চট্টোগ্রাম রুটে নতুন উড়ান চালু হবে বলে তিনি এদিন জানিয়েছেন।