Durga Puja 2023: তিলোত্তমার `অন্য দুর্গা`, বিশেষভাবে সক্ষমদের সচেতনামূলক প্রচারে অভিনব আয়োজন
জি ২৪ ঘন্টা ডিজিটাল ব্যুরো: এনআইপি এনজিও দৃষ্টিহীনদের জন্য এবং অন্যান্য ভিন্নভাবে সক্ষম মানুষদের জন্য একটি শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র। ফোরাম ফর দুর্গোৎসব, সায়নী ইন্টারন্যাশনাল স্কুল, মমতা সুমিত বিনানী ফাউন্ডেশন, রোটারি ক্লাব অফ ক্যালকাটা ওল্ড সিটির সহযোগিতায় এই সংস্থা দুর্গাপুজোয় প্যান্ডেলগুলিকে প্রবীণ নাগরিক এবং প্রতিবন্ধীদের ঘোরার সুবিধা করার চেষ্টা করছে। সেই কারণে এই সংস্থা পূজা কমিটির জন্য একটি প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছে। যেখানে ৩০০টি দুর্গা পুজো কমিটি অংশ নেবে। তারা কলকাতার হাজরা পার্ক দুর্গোৎসব-এ সচেতনতামূলক প্রচারাভিযান হিসাবে 'অন্য দুর্গা'- র ধারণাটিও প্রদর্শন করেছে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শ্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, শ্রী সায়ন দেব চ্যাটার্জি, হাজরা পার্ক দুর্গোৎসব কমিটির যুগ্ম সম্পাদক; শ্রী তপন পট্টনায়ক, সাইনি গ্রুপের সিইও; সিএস (ড.) অ্যাড. মমতা বিনানি, NIP NGO-এর প্রধান পৃষ্ঠপোষক এবং MSME ডেভেলপমেন্ট ফোরাম পশ্চিমবঙ্গের সভাপতি; শ্রী জুয়েল চৌধুরী, সভাপতি রোটারি ক্লাব কলকাতা ওল্ড সিটি; শ্রী দেবজ্যোতি রায়, NIP NGO-এর সেক্রেটারি সহ আরও অনেক বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।
অনুষ্ঠানে সাইনি গ্রুপের সিইও শ্রী তপন পট্টনায়ক বলেন, 'আমরা জানি এনআইপি তাদের কাজের ক্ষেত্রে কতটা দায়িত্ববান এবং কার্যকর। এই ধরনের একটি মহৎ কাজের সাথে যুক্ত হওয়া আমাদের সম্মানের বিষয়। আগে প্যান্ডেল-হপিং এবং প্রতিমা দর্শন বিশেষভাবে সক্ষম এবং প্রবীণ নাগরিকদের জন্য একটি অকল্পনীয় ব্যাপার ছিল কারণ তারা ভিড়ের প্যান্ডেলে যেতে পারত না।'
অনুষ্ঠান সম্পর্কে বলতে গিয়ে হাজরা পার্ক দুর্গোৎসব কমিটির জয়েন্ট সেক্রেটারি শ্রী সায়ন দেব চ্যাটার্জি বলেন, 'সাধারণত, পুজোর পুরস্কারগুলি গ্ল্যামার, জাঁকজমক, শিল্পকর্ম এবং ভিজ্যুয়াল গিমিকসের মাপকাঠিতে বিচার করা হয়। কিন্তু এখন মানদণ্ড পরিবর্তন করা হয়েছে। কারণ বিশেষভাবে সক্ষমদের আমরা যে সুযোগ-সুবিধা দিই তার ভিত্তিতেও এটি বিচার করা হবে। দুর্গাপুজো পশ্চিমবঙ্গের সবচেয়ে বড় উৎসব। পশ্চিমবঙ্গের মানুষ উৎসবটি দারুণ আড়ম্বরে উপভোগ করে। কিন্তু মানুষ সমাজের অন্য অংশ যথা ভিন্নভাবে সক্ষম এবং প্রবীণ নাগরিকদের কথা ভুলে যায়।'
এনআইপি এনজিও ৩ ডিসেম্বর, ২০১২- এ "স্টেট অ্যাওয়ার্ড"-এর পুরস্কারে ভূষিত হয়েছিল। এছাড়াও, এটি কলকাতার বিভিন্ন অংশে এবং পশ্চিমবঙ্গের অন্যান্য জেলাগুলিতে বেশ কয়েকটি সচেতনতা শিবিরের আয়োজন করছে। এনআইপির লক্ষ্য দৃষ্টিহীন এবং ভিন্নভাবে সক্ষম ব্যক্তিদের সম্ভাব্য সব উপায়ে সাহায্য করা। এটি অল বেঙ্গল দাবা প্রতিযোগিতা এবং দৃষ্টিগত ভাবে সক্ষমদের জন্য T-20 ক্রিকেট টুর্নামেন্ট ইত্যাদিরও আয়োজন করেছে।