Hiroshima Day: ভয়াবহ সেই ধ্বংসলীলা স্মরণ করে আজও আতঙ্কিত হয়ে ওঠে বিশ্ব
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন ১৯৪৫ সালের ৬ অগস্ট, জাপানের হিরোশিমায় ফেলা হয়েছিল প্রথম পরমাণু বোমা। নিমেষে নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছিল গোটা শহর। সেই ভয়াবহতাকে স্মরণ করতেই প্রতিবছর দিনটিকে হিরোশিমা দিবস হিসেবে পালন করা হয়।
পরমাণু বোমার জেরে মৃত্যু হয়েছিল প্রায় ৮০ হাজার মানুষের। আহত হয়েছিলেন ৩৫ হাজারেরও বেশি মানুষ। ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল গোটা শহর। নষ্ট হয়ে গিয়েছিল বহু ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাট, গাছ-গাছালি। জানা গিয়েছিল, হিরোশিমার ৬৫ শতাংশ বিল্ডিংই ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল।
চিন ও রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধের সময় থেকেই জাপানি সামরিক কার্যকলাপের মূল কেন্দ্র উঠেছিল হিরোশিমা। পাশাপাশি, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়েও সামরিক দিক থেকে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ ঘাঁটি ছিল এই শহর। কেন হিরোশিমাকে নিয়ে আলোচনা? কারণ, বিশ্বের এটিই প্রথম শহর, যার উপর পরমাণু বোমা ফেলা হয়। এর পরে পরমাণু ফেলা হয় জাপানেরই নাগাসাকি শহরে।
মূলত বিশ্বশান্তির দিকে তাকিয়েই পালন করা হয় হিরোশিমা দিবস। একটা ক্ষতের দিকে ফিরে তাকানো, একটি শোকের দিকে ফিরে তাকানো। ৭৩ বছর হল একটি পরমাণু বোমা কেড়ে নিয়েছিল গোটা একটি শহরের প্রাণ। সেই আঘাত আজও ভুলতে পারেনি বিশ্ব।
১৯৪৫ সালের ৬ অগস্ট, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়ে বি-২৯ বোমারু বিমান থেকে হিরোশিমায় 'লিটল বয়' নামের একটি পরমাণু বোমা ফেলেছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। লহমায় প্রায় গোটা শহর নিশ্চিহ্ন নিষ্প্রাণ হয়ে গিয়েছিল।
কিন্তু এখানেই থামেনি আমেরিকা। তিনদিন পরে ৯ অগস্ট, নাগাসাকিতে আরেকটি পরমাণু বোমা ফেলা হয়। তার পরেই, ১৫ অগস্ট, আমেরিকার কাছে নিঃশর্ত সমর্পণ করার কথা ঘোষণা করে জাপান।